পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতার আসল রহস্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে তাঁর সাথে পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাতে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, একজন সাধারণ বন্দীর সাথে স্বজনদের সাত দিন পরপর দেখা করার সুযোগ থাকে। সেখানে মাস পেরিয়ে গেলেও দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাঁর স্বজনদের দেখা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি দেশনেত্রী গুরুতর অসুস্থ, সেই কারণে আসল রহস্য ফাঁস হওয়ার ভয়ে বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যদেরকে দেখা করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। বেগম জিয়ার প্রতি শেখ হাসিনার আচরণ দেশ-কাল-সভ্যতার পক্ষে কলঙ্কের।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৩১ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও বেগম খালেদা জিয়ার স্বজনদেরকে তাঁর সাথে দেখা করতে দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই সাক্ষাৎ দেয়া হয়নি। অথচ আজকে বেগম জিয়ার সাথে পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাতের জন্য অনুমতি ছিল। আকস্মিকভাবে বেলা ২টার সময় অনুমতি বাতিলের কথা জানানো হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, উচ্চতর কর্তৃপক্ষ কে? কত উচ্চতায় তিনি অবস্থান করেন? এটি জেল কর্তৃপক্ষ না জানলেও জনগণ তা ভালভাবেই জানে যে, জেল কর্তৃপক্ষের প্রভুরাই উচ্চতর কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার আদালতকে দিয়ে যার নির্দেশে দেশনেত্রীর জামিন আবেদন খারিজ হয়েছে সেই উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই বেগম জিয়ার স্বজনরা অনুমতি থাকার পরেও তাঁর সাথে দেখা করতে পারলেন না। এই উচ্চতর কর্তৃপক্ষ মূলত: ক্ষমতাক্ষুধায় অস্থির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসার জ্বালা অনির্বাণ। এই জ্বালা স্তিমিত হওয়ার নয়। কারণ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তাঁর এই জ্বালা দাউদাউ করে জ¦লছে। আর সেজন্যই তিনি তাঁর প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী খালেদা জিয়াকে নিঃশেষ করতেই রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল অস্ত্রই প্রয়োগ করছেন। তাঁর কারিগরিতেই গত বৃহস্পতিবার বেগম খালেদা জিয়া জামিন পাননি। শোকে-দুঃখে, রোগে তাঁকে কারাবন্দী রেখে জীবন বিপন্ন না করা পর্যন্ত শেখ হাসিনা অবৈধ ক্ষমতা-যন্ত্রের দ্বারা নিপীড়ণ চালিয়েই যাবেন। এই বন্দীত্বের বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশের সকলেই সোচ্চার হওয়ার পরও মধ্যরাতের ডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে প্রভূত ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী শেখ হাসিনা সেগুলোকে তোয়াক্কা না করে বেগম জিয়ার জামিন আটকে দিয়েছেন। আর আজ বেগম জিয়ার স্বজনদেরকে সাক্ষাৎ করতে না দিয়ে বন্দীর অধিকারটুকুও ক্ষুন্ন করেছেন।
দুঃশাসন বেশিদিন টিকে না মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, যে সরকারপ্রধানের রাজমুকুটে বিরোধীদল ও মতের রহস্যময় অন্তর্ধাণ, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা শোভা পায় সেই প্রধানমন্ত্রী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে ধ্বংস করার জন্য মহাসমারোহে কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। যিনি সারাদেশকে দুঃশাসনের দোজখের মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন, তাঁর কাছ থেকে কোন ন্যায়সঙ্গত কাজ আশা করা যায় না। তাঁর রাজ্যশাসনের জয়োল্লাসের মধ্যে শুধুই হিংসা ও রক্তপাতের ছবি। যিনি গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রেখেছেন, যিনি জনগণকে নির্বাক জনগোষ্ঠী তৈরী করতে উঠেপড়ে লেগেছেন তাঁর কাছ থেকে ন্যায় ও সুবিচার আশা করা মুর্খের স্বর্গে বাস করার সামিল। তবে এই দুর্বিষহ দু:শাসন যে বেশী দিন টিকে না, এটা কখনোই কোন নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক বুঝতে পারে না।
যেকোন মুহূর্তে গণেশ উল্টে যেতে পারে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন পেতে বাধা দিয়ে আদালতকে সম্পূর্ণ কব্জায় নিতে পেরে শেখ হাসিনা এটিকে নিজের সাফল্য হিসেবে দেখছেন এবং সেই কারণেই তিনি আরও বেশী উদ্ধত ও অহংকারী হয়ে উঠে তাঁর স্বজনদের সাক্ষাৎ করতে দেননি। কিন্তু যখনই কোন অবৈধ শাসক নিরঙ্কুশ ক্ষমতার চূড়ান্ত পর্যায়ে ওঠে তখন তাদের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না এবং তারা বোঝে না যে, গণেশ যেকোন মূহুর্তে উল্টে যেতে পারে। বর্তমান সরকারেরও কোন বৈধতা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাদের বদ্ধ দরজায় পতনের কড়া নড়ছে। ইতোমধ্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের অনিয়ম তুলে ধরে গোটা নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবী করেছেন। এ বিয়য়ে প্রেসিডেন্টকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এই ইসি’র মাধ্যমেই মধ্যরাতের সিলেকশনে অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, সুতরাং সেই সরকারের পতন অনিবার্য। ক্ষুদ্ধ জনগণের বিসুভিয়াসের মতো সুপ্ত আগ্নেয়গিরির যেকোন মূহুর্তেই উদগীরণ ঘটবে। এই সরকারের আসন্ন পতনে প্রধানমন্ত্রীর কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আর এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করতে পারবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।