নোয়াখালী ব্যুরো : সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নে ডাকাতিকালে ডাকাতদের ছুঁড়া গুলিতে আহত রসরাজ ভৌমিক (৪৫) ২১দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত রসরাজ ভৌমিক কাদরা ইউনিয়নের নিজ সেনবাগ গ্রামের নবকৃষ্ণ মজুমদার বাড়ীর সূর্য মোহন দাসের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুন (শনিবার) দিবাগত রাতে নবকৃষ্ণ মজুমদার বাড়ীর সুকান্ত চন্দ্র ভৌমিকের ঘরে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত প্রবেশ করে। পরে তারা ঘরে থাকা লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৮০ হাজার টাকা, সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণ ও মোবাইলসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ঘরে থাকা লোকজন ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে ওই বাড়ীর পাশের ঘরের লোকজন ছুটে এসে ডাকাতদের ধাওয়া করে। এসময় ডাকাতদল লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে রসরাজ ভৌমিক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়।
পরে পরিবারের লোকজন তাকে প্রথমে ফেনী সরকারী হাসপাতালে, পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার সকালে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সেনবাগ থানার ওসি হারুন উর রশিদ জানান, গুলিবিদ্ধ রসরাজ ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মারা গেছে বলে আমরা শুনেছি। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।