পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘‘আমরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতে প্রধানমন্ত্রীর কথা ও অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন দেখতে চাই। গতকাল মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে মানবাধিকার রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। আমাদের বিচার বিভাগ যেন স্বাধীনভাবে কাজ করে সেই স্বাধীনতাও আমরা বিচার বিভাগকে নিশ্চিত করে দিয়েছি, মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে।’’- আজ বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেছেন।
রিজভী বলেন, মানবাধিকারকে পদদলিত, সমগ্র বিচার ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে ন্যায়বিচারের টুঁটি চেপে ধরে মিথ্যাবাদীতার নীতি নিয়ে তিনি যে সরকার পরিচালনা করছেন সেখান থেকে সরে আসার নজীর সৃষ্টি হবে, তিনি যদি আদালতকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেন। গোটা দেশবাসী গভীর উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় আছে। খালেদা জিয়ার জামিন আটকে দিতে আদালতে নগ্ন হস্তক্ষেপ করবেন না। ন্যায়বিচারে বাধা দিবেন না। মানবিক কারণে দেশনেত্রীর জামিন দিন। তার জামিনই এখন দেশবাসীর কাছে মুখ্য। তাহলেই বোঝা যাবে, প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের সাথে কাজের মিল আছে।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, দু:শাসনকবলিত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল ও ভরসার জায়গা হলো দেশের বিচারালয়। আমরা এখনো বিচার বিভাগকে বিশ্বাস করি। বিশেষ করে সুপ্রিকোর্ট নিরপেক্ষ থেকে ন্যায়বিচার করবেন, আইনের শাসন কায়েম থাকবে। আমরা আশা করি, মহামান্য আদালত চারবারের সাবেক প্রধনমন্ত্রীকে তার প্রাপ্য হক জামিন দিয়ে মুক্ত পরিবেশে পছন্দমতো হাসপাতালে স্বাধীনভাবে সুচিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দেবেন। আইন, সংবিধান, মানবাধিকার, বয়সসহ সকল বিবেচনা অনুযায়ী জামিন পাওয়া তার ন্যায়সঙ্গত অধিকার। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা চেয়ারপারসনের জামিন নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন। আমরা আশা করি উচ্চ আদালত সবকিছু বিবেচনা করে সঠিক রায় দেবেন।
রিজভী আরও বলেন, এদেশের জনগণের প্রাণপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিনা অপরাধে ৬৭২ দিন ধরে নির্দয়ভাবে বন্দী রাখা হয়েছে। মানসিক নিপীড়ণে ৭৫ বছর বয়সী গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রীর অবস্থা খুবই বিপজ্জনক। সেই কারণেই সরকার তার জীবনকে আরো বিপন্ন করার জন্য জামিন দিচ্ছে না। যে কোনো সময় তার স্থায়ী পঙ্গুত্বের আশঙ্কা রয়েছে। দেশের জনগণ তাদের নয়নমনি দেশনেত্রীকে নিয়ে প্রতিমুহুর্ত গভীর উৎকন্ঠায় কালাতিপাত করছেন। আগামীকাল তার জামিনের শুনানি হবে। দেশের মানুষ গভীর আশা নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।