পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের মানুষ গভীর আশা নিয়ে সর্বোচ্চ বিচারালয়ের দিকে তাকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দুঃশাসনকবলিত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল ও ভরসার জায়গা হলো দেশের বিচারালয়। আমরা এখনও বিচার বিভাগকে বিশ্বাস করি। বিশেষ করে সুপ্রিমকোর্ট নিরপেক্ষ থেকে ন্যায়বিচার করবেন, আইনের শাসন কায়েম থাকবে বলে আশা করি। আমরা আশা করি, মহামান্য আদালত চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তাঁর প্রাপ্য হক জামিন দিয়ে মুক্ত পরিবেশে পছন্দমতো হাসপাতালে স্বাধীনভাবে সুচিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দেবেন। আইন, সংবিধান, মানবাধিকার, বয়সসহ সকল বিবেচনা অনুযায়ী জামিন পাওয়া তাঁর ন্যায়সঙ্গত অধিকার। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা চেয়ারপারসনের জামিন নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন। আমরা আশা করি উচ্চ আদালত সবকিছু বিবেচনা করে সঠিক রায় দেবেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এদেশের জনগণের প্রাণপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে বিনা অপরাধে ৬৭২ দিন ধরে অমানবিক ও নির্দয়ভাবে বন্দী রাখা হয়েছে। সুচিকিৎসার অভাব এবং মানসিক নিপীড়ণে ৭৫ বছর বয়সী গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রীর অবস্থা খুবই বিপজ্জনক। সেই কারণেই সরকার তাঁর জীবনকে আরও বিপন্ন করার জন্য জামিন দিচ্ছে না। যে কোনো সময় তাঁর স্থায়ী পঙ্গুত্বের আশঙ্কা রয়েছে। দেশের জনগণ তাদের নয়নমনি দেশনেত্রীকে নিয়ে প্রতি মুহুর্ত গভীর উৎকন্ঠায় কালাতিপাত করছেন। আগামীকাল তাঁর জামিনের শুনানী হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে মানবাধিকার রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। আমাদের বিচার বিভাগ যেন স্বাধীনভাবে কাজ করে সেই স্বাধীনতাও আমরা বিচার বিভাগকে নিশ্চিত করে দিয়েছি, মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে।”
তিনি বলেন, আমরা আগামীকাল সর্বোচ্চ আদালতে প্রধানমন্ত্রীর এই কথা ও অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন দেখতে চাই। তিনি যে মানবাধিকারকে পদদলিত, সমগ্র বিচার ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে ন্যায়বিচারের টুটি চেপে ধরে মিথ্যাবাদীতার নীতি নিয়ে তিনি যে সরকার পরিচালনা করছেন সেখান থেকে সরে আসার নজীর সৃষ্টি হবে, তিনি যদি আদালতকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেন। কারণ ইতোপূর্বে আমরা দেখেছি প্রধান বিচারপতিসহ একজন বিচারককে বন্দুকের নলের মুখে দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
রিজভী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গুরুতর অসুস্থতায় ধুঁকছেন দেশনেত্রী। তাঁর জীবন হানীর শংকায় শঙ্কিত আমরা। গোটা দেশবাসী গভীর উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় আছে। জামিন আটকে দিতে আদালতে নগ্ন হস্তক্ষেপ করবেন না। ন্যায়বিচারে বাধা দিবেন না। মানবিক কারণে দেশনেত্রীর জামিন দিন। তাঁর জামিনই এখন দেশবাসীর কাছে মূখ্য। তাহলেই বোঝা যাবে, প্রধানমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্যের সাথে কাজের মিল আছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির কাল্পনিক অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। সেখানে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটি কেবল সমাজে মামলাবাজ টাউটদের দ্বারাই সম্ভব। এ বি সিদ্দিকী বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ দেশের সম্মানিত নাগরিকদের বিরুদ্ধে প্রায়ই এধরণের আজগুবি মামলা দায়ের করে থাকে। এই ব্যক্তিটি একজন দেউলিয়া ও ছন্নছাড়া ব্যক্তি বলেই সরকার তাকে নির্দেশ দিয়ে এধরণের মামলাগুলো দায়ের করায়। শোনা যায়-এই সমস্ত মামলা করার কারণে অর্থ-বিত্ত-প্লটসহ তার অনেক প্রাপ্তি ঘটেছে। মামলাবাজ টাউটদের মতো সে দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাংবাদিক, লেখকসহ মুক্তমনের মানুষদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানী করার উদ্দেশ্য হলো সরকারের নেক নজরে থেকে আখের গুছিয়ে নেয়া। এই মামলাবাজ মধ্যরাতের সরকারের আমলেই এই সমাজে এ বি সিদ্দিকীর মতো অসংখ্য মামলাবাজ গ্রাম্য দালাল-ফড়িয়াদের জন্ম হয়েছে। গণবিচ্ছিন্ন গণশত্রæদের দুঃশাসনের বাইপ্রোডাক্ট হচ্ছে এ বি সিদ্দিক’রা। এরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রসমাজে কুৎসিত, কদর্য পরিবেশ টেনে নিয়ে এসেছে। তিনি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বানোয়াট, ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এধরণের মনগড়া মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।