পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাড়তি পণ্যমূল্যের চাপে সাধারণ মানুষ। বাজারে ভরা মৌসুমেও সব পণ্যের দাম বেশি। এর মধ্যে চাল, আলু, পটোল চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, শসা, পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম অক্টোবরের চেয়ে নভেম্বরে বেড়েছে। এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত খাতেও বেড়েছে সব ধরনের পণ্যের দাম। এর মধ্যে বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতের বাড়তি ব্যয় করতে হয়েছে জনসাধারণকে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরে্যার (বিবিএস) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনেও এ চিত্র ফুটে উঠেছে। বিবিএস বলছে, সার্বিকভাবে অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে সবকিছুর দাম বেড়েছে। এর মধ্যে গ্রামের চেয়ে শহরে বেশি হারে বেড়েছে পণ্যমূল্য। যদিও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, এবার মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধির নায়ক পেঁয়াজ। পেঁয়াজের বাড়তি ঝাঁজের কারণেই বেড়েছে সার্বিক মূল্যস্ফীতি।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলনে কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বিবিএসের হালনাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এ সময় জানানো হয়, চলতি বছর নভেম্বর মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ হয়েছে, যা অক্টোবরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। একই সময়ে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ হিসাবে সার্বিকভাবে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ হয়েছে, যা অক্টোবরে ছিল ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
বর্ধিত মূল্যস্ফীতির ব্যাখ্যায় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এবারে মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধির নায়ক পেঁয়াজ। পেঁয়াজের বাড়তি ঝাঁজের কারণেই বেড়েছে সার্বিক মূল্যস্ফীতি। তবে বাজারে চাল, আলু, পটোল চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, শসা, রসুন ও আদার দাম অক্টোবরের চেয়ে নভেম্বরে বেড়েছে। সেটা আমরা অস্বীকার করছি না। এমএ মান্নান আরও বলেন, সামনে কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ উঠলেই মূল্যস্ফীতির হার কমে যাবে। বিবিএসের প্রতিবেদন অনুসারে, গ্রামে নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ০১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশে, যা অক্টোবর মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ছিল ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
গ্রামের চেয়ে শহরে মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি ছিল। বিবিএসের হিসাব অনুসারে, সার্বিক মূল্যস্ফীতি শহরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশে, যা অক্টোবরে ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শহরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৬ দশমিক ০৯ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।