রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দেশজুড়ে এখন বিজয় উল্লাস, মহান বিজয় দিবস উদযাপনের অপেক্ষায় জাতি। মুক্তিকামী বাঙালি তাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময় এ মাসেই ছিনিয়ে এনেছিল বিজয়। বিজয়ের এই মাসকে স্মরণ করে দিতে দেশের সকল শ্রেণীপেশার মানুষের হাতে একটি করে লাল-সবুজের পতাকা পৌঁছে দিতে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটছে লাল-সবুজের ফেরিওয়ালা ফরহাদ। বিজয়ের এই মাসে শহর থেকে গ্রামের প্রতিটি অলিতে-গলিতে, স্কুল ও কলেজের সামনে পতাকা বিক্রি করেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া বাজারে একটি বাঁশের সঙ্গে ছোট-বড় লাল-সবুজের পতাকা বেঁধে বিক্রয় করতে দেখা যায় ফরহাদ নামের ৩৫ বছর বয়সী এক যুবককে। লাল-সবুজের এই ফেরিওয়ালার কাছ থেকে বিজয় দিবসকে সামনে রেখে পতাকা কিনছেন অনেকেই। ফরহাদ নাটোর জেলার তেবাড়িয়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা খোকন খানের ছেলে। বছরের অন্য মাসে সে মৌসুমী ব্যবসায়ী হলেও এ মাসের জন্য লাল-সবুজের ফেরিওয়ালাই তার পরিচয়। ফরহাদের মতো লাল-সবুজের ফেরিওয়ালার পথচলায় বর্ণিল হয়ে ওঠেছে পথ-ঘাট। মাইলের পর মাইল হেঁটে মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন একটি জাতীয় পতাকা। এ যেন আত্মার টান। শুধু ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত চলে এই লাল-সবুজের পতাকা বিক্রয়। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময় এই বিজয়, ডিসেম্বর এলেই শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শুরু হয় জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম। বিজয় দিবসে দেশের আনাচে-কানাচে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িতেও দেখা যাবে বিজয় নিশান ‘বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা’।
এসময় পতাকা বিক্রেতা ফরহাদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ‘আমি শুধু লাভের জন্য নয়, দেশ প্রেম থেকেই পতাকা বিক্রয় করি। আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা তাই বিজয়ের পতাকা ফেরি করে বিক্রি করতে আমার গর্ববোধও হয়। ডিসেম্বর মাস আসলেই আমি অন্য কাজ ছেড়ে দিয়ে ঢাকা থেকে বিভিন্ন মাপের পতাকা কিনে এনে আমার নিজ জেলা নাটোরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘একেবারে ছোট পতাকা ১০ টাকা থেকে শুরু হয়ে মাপ অনুযায়ী ৩০, ৫০, ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পতাকা বিক্রয় করে আমার ১০-১৫ হাজার টাকা আয় হয়। সকল মানুষের হাতে একটি করে লাল-সবুজের পতাকা দিতে পারলে তার স্বার্থকতা আসবে বলেও তিনি জানান।’
বিজয়ের পুরো মাস জুড়ে বাংলার আকাশে ওড়বে লাল-সবুজের পতাকা। সেই চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন সাইজের পতাকার পসরা সাজিয়ে পথে পথে ঘুরছেন ফরহাদের মতো লাল-সবুজের ফেরিওয়ালারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।