রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রাউজান ডাবুয়া খালের আলিখীল এলাকার সেতুটি বন্যায় ধসে পড়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে চলছে। সরেজমিনে দেখা যায় স্থানীয় লোকজন বিকল্প হিসেবে একটু উত্তরে পূর্বে অবস্থিত সুইচ গেটের ওপর দিয়ে বাঁশের সাঁকো বসিয়ে চলাচল করছেন।
জানা যায়, ২০১৭ সালে ডাবুয়া খালের আলিখীল সেতুটি পাহাড়ি ঢল আর বন্যার তীব্র স্রোতে ভেঙে যায়। এরপর থেকে শ’ শ’ মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। পরবর্তী বিকল্প পথ হিসাবে সুইচ গেট দিয়ে মানুষ যাতায়াত করলেও সেখানে পশ্চিম পাশে বসানো বাঁশের সাঁকোটি নড়েবড়ে হয়ে যাওয়ায় চলাচলে ঝুঁকি বেড়ে গেছে। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে বিকল্প পথ ব্যাবহার করে যাতায়াত করছে এলাকার জনসাধারণ। সাঁকোতে উঠলেই পা কাঁপানো শুরু হয়। মোটরসাইকেল আর হাল্কা অটোরিকশা ছাড়া কোন গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। হলদিয়া-ডাবুয়ার শত শত মানুষের কৃষি উৎপাদন এলাকা হিসেবে পরিচিত আলীখীলের মানুষ দুর্ভোগে আছেন দীর্ঘদিন।
পথচারী বয়োবৃদ্ধ শাহালমের সাথে কথা হয় সুইচ গেট এলাকায়, তার ঘাড়ে বড় বোঝাই, দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললেন বহু কষ্টে আছি, বহু টাকা খরচ করে সুইচ গেট হয়েছে অনেক বছর আগে, মানুষের কোন উপকারে আসেনি, সরকারি টাকা নষ্ট করেছে শুধু, তিনি বলেন বাঁশের সাঁকোটাও নরেভড়ে হয়ে গেছে, উঠলেই ভয় লাগে মনে। দেখা গেছে সুইচ গেটের পশ্চিম পাশে পানির বড় কুয়া সৃষ্টি হয়েছে, উপর থেকে দেখলেই গা শিউরে উঠে। চলাচলের সড়কটিও কিছু ইটের সলিং বসানো হলেও অনেকাংশে মাটির। বর্ষাকাল কিংবা একটু বৃষ্টি হলেই চলাচলে কষ্ট হয় যাত্রী সাধারনের। ঐ সড়ক দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়, হযরত দলিল শাহ (রহ.) আস্তানা ও ব্রিক ফিল্ডের ব্যবসায়িক কাজে প্রতিনিয়ত মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। গুরুত্বপুর্ণ ঐ সড়কে চলাচলকারী দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট করে চলাচল করছেন।
ভেঙে যাওয়া জনগুরুত্বপূর্ণ ডাবুয়া খালের আলিখীল সেতুটি নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত দুর্ভোগ লাগব হবেনা বলে জানান স্থানীয় আবদুল মান্নান। এলাকার অনেকে জানান, সেতুর কারণে রোগী নিয়ে মানুষ বিপাকে পড়েন, অনেক দূর অতিক্রম করে রাউজান সদর কিংবা চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যেতে হয় অসুস্থ রোগীকে।
সেতু প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, সেতুটির ফাইলপত্র প্রসেসিং করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আশা রাখছি ঢাকা থেকে রেডি হয়ে আসলে টেন্ডার আহবান করা হবে। তিনি আরো জানান, সেতুটি নির্মাণে প্রায় ৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। একই খালে অকেজো সুইচ গেটের ব্যাপারে জানতে চাইলে গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, এটি আমি সরেজমিন একদিন দেখতে গিয়েছিলাম, ছবি তুলে এনেছি, সুইচ গেটের ব্যাপারে ঢাকায় একটি লিখিত রিপোট পাঠাবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।