রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের করুণ দশা। কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে বুড়িচং, দেবিদ্বার, মুরাদনগর, ব্রাহ্মণপাড়া হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে যুক্ত হয়েছে এ আঞ্চলিক সড়কটি। চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেটসহ আশেপাশের জেলাসমূহের ভারি যানবাহন চলাচলের একমাত্র পথ এটি। ভারতে পন্য আমদানি-রফতানির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেটের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সডক এটি। কিন্তু পন্য ও যাত্রীবাহী পরিবহনে ব্যস্ততম এ আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪২ কিলোমিটারের বেশিরভাগই এ্যাবরো-থেবরো অবস্থা ও ছোটবড় খানাখন্দে আক্রান্ত।
আঞ্চলিক এ মহাসড়কের কুমিল্লা থেকে শুরু পথটাই যেনো বিরক্তিকর। ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হলেও কংশনগর, জাফরগঞ্জ দেবিদ্বার হয়ে কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত অধিকাংশ স্থানে ছোটবড় খানাখন্দ আবার কোথাও উচু-নিচু ঢাল সৃষ্টি হয়েছে। বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিক-আপ, মাইক্রেবাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচলে মনে হবে যাত্রী, চালক দোল খাচ্ছে। সড়কের দেবিদ্বার অংশের প্রায় ১৮ কিলোমিটার ব্যবহারের অনুপযোগী। দেবিদ্বার পৌর এলাকার ২০মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগছে দ্বিগুন। দেবিদ্বার পৌর এলাকায় ছোটবড় গর্তগুলো বালি মাটি দিয়ে ভরাট করলেও ভারি যানবাহনের চাকা প্রতিনিয়ত দেবে যায়। গর্ত থেকে গাড়ির চাকা তুলতে গলদগর্ম হয়ে পড়েন পরিবহন শ্রমিকরা।
এদিকে সড়কটি চার লেনে উন্নিত হওয়ার কথা থাকলেও তা দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। পরিবহন চালকরা জানান, চারলেন পরে; আগে দুই লেনেরই মেরামত করা হোক। ছোট-বড় খানাখন্দে বালি-মাটি, ইটের খোয়া দিয়ে প্রায়ই সংস্কার হয়। কিন্তু ভারী যানবাহন চলাচলে ২/৩ দিন পর যেমন ছিলো তেমন হয়ে যায়। এসব চেষ্টা কোন কাজে আসে না। ক’দিন না যেতেই সড়ক ফিরে যায় ভোগান্তির আগের চেহারায়। ফলে ভোগান্তি যা পোহানোর তা সঙ্গে নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে।
এ সড়কে চলাচলকারী সিলেটগামী কুমিল্লা ট্রান্সপোর্ট, কোম্পানীগঞ্জগামী ফারজানা ও কসবাগামী সুগন্ধা পরিবহনের অনেক যাত্রীই জানান, বিভিন্নস্থানে অসংখ্য ছোট-বড় খানা-খন্দকের পাশাপাশি সড়কের অনেক জায়গা উঁচুনিচু হয়ে পড়ায় দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ও চালকদের অভিযোগ, যতোবারই কাজ হয় তা বরাবরই নি¤œমানের। কাজ টেকসই না হওয়ায়, ভারী যানবাহনের চাপে স্বল্প সময়েই নষ্ট হচ্ছে সড়ক। এধরণের নি¤œœমানের সংস্কার কাজের ফলে দিন দিন গুরুত্ব হারাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক সড়ক।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লা সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। দেবিদ্বার ও কংশনগর এলাকায় আপাতত ইট বালির সলিং দেয়া হয়েছে। পুরো সড়কটি সংস্কারের প্রক্রিয়াধীন। আশা করা যাচ্ছে সহসাই সংস্কার কাজ শুরু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।