‘আমরা সংসদে থাকবো আবার সরকারের পতন চাইবো, এটা কিন্তু জনগণ পছন্দ করবে না। অর্থাৎ যেটা চাই সেটা জনগণের কাছে স্পষ্ট করতে হবে যে, আসলেই আমরা সরকারের পতন চাই। তখন জনগণ রাস্তায় রক্ত দেওয়ার জন্য আপনাদের পাশে দাঁড়াবে। যতক্ষণ আমাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য জনগণের কাছে স্পষ্ট করে বোঝাতে পারবো না, ততক্ষণ কোনো আন্দোলন দানা বেঁধে উঠবে না।’-
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেছেন।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত ‘আর কতকাল বন্দি থাকবে খালেদা জিয়া’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে যদি আমরা সংসদে যোগ দিয়ে থাকি, তাহলে আজ আমাদের প্রথম দায়িত্ব সংসদ থেকে পদত্যাগ করে জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামা।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা কি এই বদ্ধ ঘরের মধ্যে শুধু কথার ফুলঝুরি ছড়িয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করছি, সেটা প্রমাণ করতে পারবো? আমাদের এই সরকারের পতন ঘটিয়ে এ দেশকে মুক্ত করতে হবে।
এদিকে ভারতের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এটা ভারত মনে করে না। যদি মনে করতো, তাহলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গে গেছেন, কিন্তু তাকে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা দেয়নি কেন? অথবা সরকারের পক্ষ থেকে তার কোনো প্রতিবাদ হয়নি কেন? কেন তিনি অনুষ্ঠান বর্জন করে দেশে ফিরে আসলেন না?
গয়েশ্বর আরও বলেন, যারা (ভারত) ৭১ সালে আমাদের সাহায্য করেছে, ৪৭ বছর পর তারা মনে করে, সেদিন বিনিয়োগ করেছিল। আমাদের দেশে তারা বিনিয়োগ করেছে, এখন আমাদের কাছ থেকে নিতে চায়। তাই তাদের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া করা দরকার, আপনাদের (ভারত) কাছে আমাদের ঋণের পরিমাণ কত? এই পরিমাণ নির্ধারণ হলে প্রয়োজনে আমরা ১৬ কোটি মানুষ রক্ত বিক্রি করে সে ঋণ শোধ করবো। তবুও এই দেশকে কারও দাসত্বের অধীনে থাকতে দেবো না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, আবদুল আওয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।