Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হর্ন বাজালেই কারাদন্ড

সচিবালয়ের চারপাশ ‘নীরব জোন’ ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয়ের চারপাশকে নীরব জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ‘নীরব এলাকা’য় যানবাহনের হর্ন বাজালে সরকারের প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী জেল-জরিমানা করা হবে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর এই আইন কার্যকর হবে। তবে বাস চালকদের সচেতন করতে মতিঝিল, গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়া এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ১১ ডিসেম্বর থেকে লিফলেট বিলি শুরু করবেন। গণমাধ্যমেও প্রচারণা করা হবে।

‘নীরব জোন’ কার্যকর করতে গতকাল রোববার সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে সচিবালয়ের চারপাশ ‘নীরব জোন’ হিসাবে কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। শব্দ দ‚ষণের মারাত্মক ক্ষতি থেকে রেহাই দিতে এ সিদ্ধান্ত হয়। আন্তঃমন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘নীরব জোন’ জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড়, সচিবালয় লিংক রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় হর্ন বাজানো যাবে না।
সচিবালয়ের চারপাশ অর্থাৎ জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড়, সচিবালয় লিংক রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকা নীরব জোন বা নো হর্ন জোন হিসাবে হর্ন বাজালে এক মাসের কারাদন্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন গাড়ির চালক।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের অধীনে প্রণীত ‘শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬’ অনুযায়ী ‘নীরব জোন’ বলতে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বা একই জাতীয় অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এবং এর চারিদিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা এলাকাকে বুঝায়।
বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, বিধিমালায় বলা হয়েছে, কেউ এই বিধান প্রথম লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ এক মাসের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার কারাদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। পরবর্তী অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব বিল্লাল হোসেন বলেন, নীরব জোনে হর্ন বাজালে বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা হবে। এজন্য মোবাইল কোর্ট ও অন্যান্য সংস্থা অভিযান পরিচালনা করবে। শব্দ দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রচারণার জন্য টেলিভিশেনে স্ক্রল, ফেসবুকে প্রচারণা, মোবাইলে ম্যাসেজ প্রদান এবং লিফলেট বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভায়। অতিরিক্ত সচিব বলেন, আমরা সব মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেবো, যাতে তাদের কর্মকর্তাদের গাড়ির চালকেরা সচিবালয়ের আশপাশে হর্ন না বাজায়। এছাড়াও সচিবালয়ের ভেতরেও লিফলেট বিতরণ করা হবে।
‘নীরব জোন’ কার্যকরের জন্য সচিবালয়ের চারপাশ অর্থাৎ জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড়, সচিবালয় লিংক রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় চারটি নীরব জোন বা নো হর্ন জোন চিহ্নিত সাইন বোর্ড স্থাপন করা হবে। হর্ন বাজানো বন্ধে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
‘নীরব জোন’ বাস্তবায়নে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করবে বলেও সভায় জানানো হয়।
চালকদের লাইসেন্স প্রদান এবং নবায়নের সময় অপ্রয়োজনে হর্ন না বাজানোর বিষয়টি লাইসেন্সের শর্ত হিসেবে উল্লেখ করতে অনুরোধে জানানোর বিষয়টিও সভার আলোচনায় ছিল।



 

Show all comments
  • কোহেল ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৭:০৬ এএম says : 0
    Vip এলাকায় সহ সকল রোডে হর্ন দেয়া বন্ধ হওয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ