পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শেখ হাসিনা ও তাঁর পারিষদবর্গ বেগম খালেদা জিয়ার অবনতিশীল শারিরীক অবস্থা নিয়ে রীতিমত রসিকতা করছেন অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই রসিকতা এক নিষ্ঠুর মানসিক বিকারগ্রস্ততার লক্ষণ। বেগম জিয়ার জামিন যেন না হয় সেজন্য সরকারপ্রধান নিজেই প্রকাশ্য সমাবেশে রায় ঘোষণা করছেন। এতে করে এই মিডনাইট সরকারের ভয়ংকর অশুভ ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আমরা বর্তমানে দেশনেত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে চরম আশংকায় দিনাতিপাত করছি। দেশনেত্রীকে বাঁচাতে হলে এখনই জামিন ও সুচিকিৎসা দরকার।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশনেত্রীর জামিন নিয়ে এবার কোন রকমের টালবাহানা করে বেগম জিয়ার জামিনে কোন বাধা দিবেন না। আপনাদের সকল গণভিত্তি কর্পুরের মতো উবে গেছে। শেখ হাসিনার স্বনির্মিত দু:শাসনের শৃঙ্খল থেকে জনগণকে মুক্ত করতে হবে। মানুষের ক্ষোভ ও বঞ্চনা সংহত করে তা আন্দোলনে রুপদান করতে জনগণ রাজপথে নামতে শুরু করেছে।
রিজভী বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ জানেন, সরকারের কারসাজিতেই দেশনেত্রীর জামিন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম, নিম্ন আদালতে বিচারের নামে বেগম জিয়া অবিচারের শিকার হলেও উচ্চ আদালতে তিনি সুবিচার পাবেন। উচ্চ আদালতের বিচারকরা দেশের সংবিধান, আইন সর্বোপরি নিজেদের বিবেকের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবেন। জনগণ যেন হতাশ না হয় সেদিকে উচ্চ আদালতের সম্মানিত বিচারকবৃন্দ খেয়াল রাখবেন। কর্তৃত্ববাদী দুর্বিনীত শাসনের প্রকোপে জনগণের মধ্যে বিচার ব্যবস্থা যেন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে না ওঠে, সেদিকেও তাঁদের দৃষ্টি রাখতে হবে। নিম্ন আদালতের বিচারকদের মতো নয়, বরং উচ্চ আদালতকে ন্যায়বিচার অক্ষুন্ন রাখতে হবে, তা না হলে মধ্যরাতের নির্বাচনের সরকার বেগম জিয়ার জামিনে বাধা দিতে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। যদি খালেদা জিয়া বারবার অবিচারের শিকার না হন, সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব উচ্চ আদালতের।
তিনি বলেন, আইনগত এবং মানবিক সবদিক থেকেই বেগম খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার আইনগত অধিকার রাখেন। অথচ নানা অজুহাতে বেগম জিয়ার জামিন পেতে নানারকমের অজুহাত তুলে প্রলম্বিত করা হচ্ছে তাঁর বন্দী জীবন। যেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, কারাবন্দী খালেদা জিয়া রাজার হালেই আছেন এবং ভাল আছেন, সেখানে সবকিছু পরিস্কার হয়ে যায় যে, বেআইনীভাবে ক্ষমতা দখলকারী স¤্রাজ্ঞীর হালে থাকা সরকারপ্রধানের অভিপ্রায়টি কি?
চারিদিকে মিথ্যা দিয়ে সত্যের টুঁটি চেপে ধরা হয়েছে, দুর্বৃত্তায়ন চলছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দীর্ঘকাল কন্ঠরোধ করে রাখা হয়েছে জনগণের। সর্ববিধ নিয়ন্ত্রণের প্রকোপে দেশে এক শ^াসরুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দেশে মানুষের নিরাপত্তা নেই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, চলছে লুটপাট, ব্যাংক ডাকাতি, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের বাজার লুন্ঠন। শত শত কোটি নয়, গত এক দশকে আওয়ামী লীগের লোকজন দেশ থেকে পাচার করেছে দুইটি বাজেটের সমান প্রায় দশ লাখ কোটি টাকা। নিত্যদিন নারী-শিশু নির্যাতনের ছবি দেখে দেশের মানুষ আঁতকে উঠছে। সব দেখে, শুনে, বুঝেও গুম-খুন-অপহরণ কিংবা অপমানের ভয়ে, মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলেও এখন তারা পাল্টা আঘাতের জন্য প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন।
রিজভী বলেন, এই কঠিন সময়ে, যিনি ছিলেন দেশের গণমানুষের প্রতিবাদী ও সাহসী কণ্ঠস্বর, যিনি দেশের গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের প্রতীক, দেশের সেই সম্পূর্ণ নিরপরাধ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক ময়দানে পরাভূত করতে না পেরে রাষ্ট্রযন্ত্রকে কব্জায় নিয়ে মিথ্যা মামলায় ৬৬৯ দিন হলো কারারুদ্ধ করে রেখেছেন বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী। খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা চরম আকার ধারণ করেছে। এই মুহূর্তে কারামুক্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ না করলে জীবনহানীর ঝুঁকি রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।