Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভূমি কর্মকর্তার নোটিশের তোয়াক্কা নেই

সরকারি খাল দখল

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

নদী-খাল রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও এসব দখল করার প্রতিযোগিতা থেকে থেমে নেই প্রভাবশালি দুষ্টচক্ররা। এমনিভাবে দখলদার সিন্ডিকেটের কবলে কুমিল্লার মুরাদনগরের সরকারি খাল। মুরাদনগর উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন হায়দরাবাদ মৌজার খাস খতিয়ানের খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করছেনা দখলদার সিন্ডিকেট। মুরাদনগরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) সরকারি খাল দখলে জড়িত ছয় ব্যক্তিকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নোটিশ দিলেও তা তিনমাসেও তোয়াক্কাই করেনি দখলদাররা। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হায়দরাবাদ সামছুল হক কলেজের সীমানা-ঘেঁষে চলমান একটি খাল দখল করে মার্কেট নির্মাণ করছে ওই এলাকার প্রভাবশালী একটি চক্র। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে খাল দখল করে ভবন নির্মাণের শুরুতেই বাধাদেন আন্দিকোট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ভূমি অফিসের লোকজন। পরে বাঙ্গরা থানা পুলিশ এসেও ভবন নির্মাণে বাধা দেয়। কিন্তু কোনো বাধাকেই তোয়াক্কা করেনি দখলদাররা। সরকারি খালের জায়গায় পাকা ভবনের মার্কেট নির্মাণ করে যাচ্ছে দখলদাররা। নির্মাণাধীন ওই ভবনের ছাদের অংশ দিয়ে আবার হায়দরাবাদ কলেজের নিজস্ব জায়গার সড়ক এবং প্রবেশমুখও দখল করে ফেলছে।

এদিকে মুরাদনগরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল গত ২ সেপ্টেম্বর ওই এলাকার কাজল, মো. বাদল, ফারুক, স্বপন, জাহিদ ও আবু সাঈদকে সরকারি ভূমি হতে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশ দিলেও দখলদাররা ভূমি কর্মকর্তার নোটিশের তোয়াক্কা না করে গত তিন মাস ধরে অবৈধ স্থাপনার নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারি কমিশনার (ভূমি) বলেন, দখলদারদের নাম উল্লেখ করে নোটিশ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু ওরা নোটিশ প্রাপ্তির সাতদিনের মধ্যে স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। এ অবস্থায় ১৯৭০ সালের অধ্যাদেশের ৫ ও ৬ ধারা অনুযায়ী হায়দরাবাদ মৌজার খাস খতিয়ানের ওই সরকারি জায়গা উদ্ধারের নিমিত্তে উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এক্ষেত্রে দখলদার যে-ই হোক তাদের কোন অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবেনা।

এদিকে ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন সরকারি খাল দখল করে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন পাকা দোকানঘর অপসারণের বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবর তদন্ত প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ