Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সৈয়দপুর রেলপথ উচ্ছেদের পর আবার দখল

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গতকাল শনিবার পাঁচমাথা মোড় রেলওয়ে ঘুমটি থেকে পোস্ট অফিস মোড় পর্যন্ত রেল লাইনের দু’ধারে গড়ে ওঠা প্রায় দু’শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ও শীতবস্ত্রের দোকান উচ্ছেদ করা হয়। নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের রেললাইনের দুই পাশের অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শীতবস্ত্রের দোকানসহ অন্যান্য দোকানপাট রেলপথ বিভাগ ও রেলওয়ে থানা পুলিশের যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করে। কিন্তু এ অভিযানের পর পরই উচ্ছেদ করা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুরনো চিত্রে রূপ নেয়। রেলপথ বিভাগের ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণে বরাবরই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় এবং ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিভিন্ন ট্রেন।

জানা যায়, স্থানীয় রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে পাঁচমাথা মোড় রেল ঘুমটি পর্যন্ত স্থানে গড়ে ওঠা রেললাইনের দু’পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে এবং নির্ধারিত স্থান ছাড়াও বাড়তি জায়গা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা হয়ে আসায় ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এছাড়া রেললাইনের ¯øীপার ও পাথরেরও ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়ে আসছিলো। এমন দৃশ্য ধরা পড়ে রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের চোখে। ফলে তাদের নির্দেশনা পেয়ে রেলপথ বিভাগের সহযোগিতা সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের একটি দল গতকাল শনিবার সকালে রেললাইনের দু’ধারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে। রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এমদাদুল হকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালকারী দল টিনশেড ঘর, আধাপাকা দোকানসহ ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় দু’শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এমদাদুল হক বলেন, রেলপথ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে দ্রুতগতিতে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে রেললাইনে ঝুঁকি এড়াতে রেললাইনের নির্দিষ্ট সীমারেখা পর্যন্ত কেউ যাতে অবৈধ স্থাপনা ও ভ্রাম্যমাণ দোকান না বসাতে পারে তাই এ অভিযান শুরু হয়েছে।

সরেজমিনে রেললাইন এলাকায় দেখা যায় দু’পাশে অবৈধ স্থাপনা। রেললাইনের ওপর বসেছে শীতকালীন বস্ত্রের দোকান। সেখানে মানুষজনের ব্যাপক উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে। রেললাইনের ওপর দিয়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করে তা তাদের খেয়াল নেই।

সৈয়দপুর রেলওয়ে উর্ধ্বতন উপসহারি প্রকৌশলী (পথ) সুলতান মৃধা বলেন, রেলাইনের দু’ধারে বসা ব্যবসায়ীদের কাছে কারা সুবিধা নিচ্ছে তা তার জানা নেই। তবে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আবারও চলবে উচ্ছেদ অভিযান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ