পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লালসা পূরণ করতে না পেরে ২ সন্তানের জননী গৃহবধুকে মিথ্যা চরিত্রহীনার অভিযোগ দিয়ে বটি দিয়ে মাথার চুল কেটে দিয়েছেন এক আ.লীগ নেতা ও তার সহযোগীরা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের গজাইল গ্রামে গত ২৫ নভেম্বর রাতে।
এ ঘটনায় উল্লাপাড়া মডেল থানায় ওই আ.লীগ নেতা ও তার ৪ সহযোগীর বিরুদ্ধে ২ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করে উল্টো আসামিদের ভয়ে পাশ্ববর্তী বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন নির্যাতিতা গৃহবধু। আর এ ঘটনার পর থেকে গ্রেফতার আতঙ্কে আ.লীগ নেতা ও তার সহযোগীরা আতœগোপনে থেকে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নানা তৎপরতা শুরু করেছে।
থানায় মামলা ও নির্যাতিতের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গৃহবধু আতœীয় বাড়িতে যাওয়ার জন্য ভাড়া হোন্ডার খোঁজে বের হন। পথিমধ্যে একই গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামের বাড়ির পাশে যেতেই সেখানে তাকে অতর্কিতে আটকিয়ে ফেলেন স্থানীয় ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি মো. আব্দুর রশিদ ও তার সহযোগীরা। তারা ওই গৃহবধুকে সাইফুল ইসলামের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আটক করেছে বলে চিৎকার করে লোকজন জোগাড় করে। এ খবরে গ্রামের লোকজন ছুটে এলে সেখানে তাৎক্ষনিক সবার সামনে মাছকাটা বটি দিয়ে দ্রুত নিজ হাতে ওই গৃহবধুর চুল কেটে দেন আ.লীগ নেতা আব্দুর রশিদ ও তার সহযোগীরা। গৃহবধুর চুল কেটে তারা উল্লাস প্রকাশ। গৃহবধুর মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার জন্য গজাইল বাজারে শরিফ নামে এক সেলুন শ্রমিকের কাছে কাঁচি আনতে যায়। কাঁচি দিতে রাজি না হওয়ায় ওই সেলুন শ্রমিককেও তারা মারধর করে বলে সেলুন শ্রমিক এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন। এদিকে সেদিন রাতেই আ.লীগ নেতা ও তার সহযোগীদের গৃহবধুর চুল কাটার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যাচ্ছে অপরাধীরা চুল কেটে উল্লাস করছে।
ঘটনার পর সেখান থেকে পালিয়ে ওই গৃহবধু তার সন্তানদের নিয়ে পাশ্ববর্তী তরফ বায়রা গ্রামে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে পুরো ঘটনা পরিবারের কাছে খুলে বলে। নিকট আতœীয়দের সহায়তায় ২ ডিসেম্বর গৃহবধু বাদি হয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানায় আ.লীগ নেতা আব্দুর রশিদ সহ একই গ্রামের মুনসুর, ছালাম, নাসির ও শহিদুল ইসলামকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং ২। উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ পরিদর্শক মো. হাফিজ তদন্ত করছেন। গজাইল গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও ইউনুস আলী জানান, আ.লীগ নেতা রশিদ প্রভাব বিস্তার করে এর আগেও শিক্ষকসহ এলাকার অনেককেই মারধর করেছে। দলীয় প্রভাবে তিনি বে-পরোয়া। তারা এ ঘটনায় শাস্তি দাবি করেন। গৃহবধু নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে আ.লীগ নেতা আব্দুর রশিদ দাবি করেন, তিনি ওই গৃহবধুর চুল কাটেননি। অসামাজিক কার্যকালাপে জড়িত থাকার সময় গ্রামবাসি তাকে লোকজন নিয়ে আটক করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে। এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি শাহীন শাহ পারভেজ কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।