Inqilab Logo

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দিনাজপুরে বীজ আলুর অগ্নিমূল্য অসহায় কৃষকরা

মাহফুজুল হক আনার : | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

 ধানের দাম না পেয়ে কৃষকদের নাভিশ্বাস অবস্থা। তাই আমন কেটেই কৃষকেরা ঝুকে পড়েছে আলু চাষে। কিন্তু বাজাওে সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে বিএডিসি’র আলুর বীজ ক্রয় করতে হচ্ছে। ফলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি কৃষকদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বীজ বিক্রি করা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিলারদের কাছে বেশি মূল্যে বীজ ক্রয় করতে হচ্ছে, তাই কৃষকদের কাছে বেশি দাম নিতে হচ্ছে। ডিলাররাও বলছেন একই কথা। কৃষি বিভাগ বলছে ডিলারদের পর্যাপ্ত বীজ সরবরাহ করছে। দাম বৃদ্ধির বিষয়টি তারা জানেন না বলেই জানান।

আমন ধান উঠানোর পরে ওইসব জমিতে চলছে আলু রোপনের কার্যক্রম। তবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেটশন (বিএডিসি)’র আলু বীজের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে সরকারি মূল্যের চেয়ে কেজি প্রতি ৭ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেশি মূল্যে ক্রয় করতে হচ্ছে কৃষকদের।

সরকারী হিসেবে বিএডিসি’র ডিলার পর্যায়ে এ গ্রেডের আলু বীজের মূল্য ২৫ টাকা আর বি গ্রেডের আলু বীজের মূল্য ২৩ টাকা। কৃষক পর্যায়ে ডিলাররা এ গ্রেডের আলু বীজ বিক্রয় করবেন ২৮ টাকা আর বি গ্রেডের আলু বীজ বিক্রয় করবেন সাড়ে ২৫ টাকা কেজি দরে। কিন্তু কৃষকদের এই বীজ ক্রয় করতে হচ্ছে ৩৪ টাকা থেকে ৩৬ টাকা পর্যন্ত। যাতে করে রোপনের শুরুতেই আলুর উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কৃষকরা বলছেন, সঙ্কট না থাকলেও বীজ ব্যবসায়ীরা আলুর দাম বেশি নিচ্ছে। আবার আলু উঠানোর সময় দাম কম, এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন তারা। তবে আলু বীজের বিক্রেতারা বলছেন, যেসব ডিলারদের নিকট থেকে বীজ নিয়েছেন সেখানেই বেশি দামে নেয়া হয়েছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অবশ্য এসব ব্যাপারে ডিলাদের নিকট মেলেনি সদুত্তর। চলতি বছরে দিনাজপুর জেলায় ৪১ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে আলু রোপন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে রোপন করা হয়েছে ২২ হাজার ৮০১ হেক্টর জমি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ