Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কলারোয়ার লাইসেন্সহীন ইজিবাইক থ্রি-হুইলার

রাজস্ব বঞ্চিত সরকার

আব্দুল হামিদ, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) থেকে | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে কলারোয়ার সড়ক-মহাসড়কে প্রায় ১ হাজার ইজিবাইক ও থ্রিহুইলার চলাচল করছে। এসব যানবাহনের কোন লাইসেন্স বা রুট পারমিট না করার কারণে সরকার প্রতিবছর কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। থ্রিহুইলার ও ইজিবাইক মালিক সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, কলারোয়ার ১৪০ গ্রামে প্রায় ১ হাজার থ্রি-হুইলার ও ইজিবাইক রয়েছে। দেড় লাখ টাকা দামে ইজিবাইক ও সাড়ে ৪ লাখ টাকা দামে থ্রি-হুইলার কেনা হয়েছে। কলারোয়ার গ্রামগঞ্জের বেশীর রাস্তাঘাট পাকা। এসমস্ত গ্রামগঞ্জ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইজিবাইক। থ্রি-হুইলারগুলোর বেশির চলাচল করছে কলারোয়া-চন্দনপুর; কলারোয়া-সরসকাটি: কলারোয়া-খোর্দ্দ; কলারোয়া-কাজিরহাট এবং কলারোয়া-সাতক্ষীরা রুটে। রাস্তায় চলাচলরত থ্রিহুইলারগুলো দৈনিক দেড় হাজার এবং ইজিবাইকগুলো দৈনিক ৭শ’ টাকা পর্যন্ত আয় করছে। বাসে ঠেলাঠেলি করে ওঠার পরে এমন ঠেসে দাঁড়াতে বাধ্য করা হয়, যাতে যাত্রী নিজের পা নড়াচড়ার জায়গা টুকু পায় না। প্রতিবাদ করলে বাস কন্ডাক্টরের বাজে কথা শুনতে হয়। তাই ২০/২৫ কিলোমিটার দূরের স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা বাস বাদ দিয়ে ইজিবাইক বা থ্রিহুইলারে চলাচল বেশী পছন্দ করে। ফলে থ্রিহুইলার বা ইজিবাইকের আয় রোজগার বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া কলারোয়ার গ্রামগঞ্জ থেকে সাতক্ষীরায় রিজার্ভ থ্রিহুইলারে ৮শ’ থেকে ১ হাজার এবং ইজিবাইকে ৫শ’ টাকা। খুলনায় থ্রিহুইলারে রিজার্ভ ২ হাজার টাকা। যশোর রিজার্ভ ১ হাজার ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। থ্রি-হুইলার কম টাকায় ভাড়া পাওয়া যায় বলে প্রাইভেট এবং মাইক্রো রাস্তায় চলাচল কমে গেছে। ফলে প্রাইভেট বা মাইক্রো খাতে সরকারের রাজস্ব আয় হ্রাস পাচ্ছে। এদিকে ইজিবাইক/থ্রিহুইলারের গড় আয় দৈনিক সর্বনিম্ন ৫শ’ টাকা ধরা হলেও এসব যানবাহনে বছরে প্রায় ২০ কোটি টাকা উপার্জিত হয় বলে সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানায়। এসব যানবাহনের কোন লাইসেন্স দেয়া হয় না। রাস্তায় চলাচলের কোন রুট পারমিট দেয়া হয় না। তাই এই যানবাহনগুলো বিদেশ থেকে আমদানীর শুল্ক ছাড়া সরকার কোন রাজস্ব পায় না। সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তায় চলাচল করে যে টাকা উপার্জন করছে তাই আয়ের একটা অংশ অবশ্যই সরকারি কোষাগারে যাওয়া উচিত বলে স্থানীয় জনসাধারণ মনে করে।

এছাড়া এসব যানবাহন সীমান্তে দ্রæত চোরাচালানী পন্য বহন করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকিতে সহায়তা করছে। কিন্তু গাড়িগুলোর কোন নাম্বার না থাকায় তাদের সানাক্ত করে আইনের আওতায় আনা যায় না বলে সুত্র জানায়। এদিকে বিপুল সংখ্যক ইজিবাইক থ্রিহুইলার রাস্তায়
থাকায় সড়ক দুঘটনা দিনদিন বাড়ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ