রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলা শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত। এ উপজেলায় বাড়ছে কলা চাষ। কলা চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা কলা আবাদে ঝুঁকছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, উঁচু জমিতে ধানসহ অন্যান্য রবিশস্য হয় না, জমিগুলো সারা বছর পতিত থাকে, পতিত জমিতে বর্তমানে কলার বাগান করে ভালো ফল পাচ্ছেন চাষিরা। বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কলা চাষিরা জানান, একবার একটি জমিতে কলার বাগান হলে ৩/৪ বছর কলা পাওয়া যায়। এক একর জমিতে কলা লাগানোর জন্য চারা লাগে ২/৩ শ’ খরচ হয় ৩০/৩৫ হাজার টাকা। এক বছর পর এ কলা বাগান থেকে এক থেকে দেড় লাখ টাকা প্রথম চালানে কলা বিক্রি হয়। এভাবে ৩/৪ বার একই জমি থেকে কলা পাওয়া যায়। বিভিন্ন জাতের কলা বিশেষ করে চিনি চাম্পা, সারভোগ, সরবি কলায় কীটনাশক কম লাগে, জৈব সার পর্যাপ্ত পরিমান দিলে রাসায়নিক সার কম লাগে।
কলা চাষি হাসনুর রহমান জানান, আমি এক একর জমিতে চিনি চাম্পা কলা লাগিয়েছি, ৩শ’টি গাছে কলা ধরছে, প্রতি (ঘাউড়) ৩/৪ শ’ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তার জমিতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকার। এক বছর পর প্রথম চালানে তিনি এক লাখ টাকার কলা বিক্রি করছেন। ঐ জমি থেকে ৩/৪ বার কলা পাবেন বলে আশা করছেন। বিরামপুরের দু’শতাধিক চাষি কলা চাষ করছেন। বিরামপুরের বিভিন্ন জাতের কলা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারেরা সরবরাহ করছেন।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্রপাল জানান, এবার বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পতিত জমিতে দু’শতাধিক চাষি প্রায় ২০ হেক্টার জমিতে কলার বাগান লাগিয়েছেন। বর্তমানে এ উপজেলায় কলার বাম্পার ফলন হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।