Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হুমকির মুখে মুচাপুর ক্লোজার

জসীম উদ্দিন আহমদ, সোনাগাজী (ফেনী) থেকে | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ভাঙনের কবলে পড়তে পারে শতকোটি টাকা ব্যায়ে মুচাপুর ক্লোজার।
জানা যায়, ফেনী জেলার সোনাগাজী, দাগনভুঁইয়া, ফেনী সদরের (আংশিক) নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোর্ট চৌদ্দগ্রাম উপজেলাসহ সাতটি উপজেলাকে বঙ্গোবসাগরের জোয়ারে লোনা পানি থেকে রক্ষা, নদী ভাঙন রোধসহ অধিক ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৬৭-৬৮ ইং সালে ছোট ফেনী নদীর ওপর কাজীরহাট নামক স্থানে একটি ক্লোজার নির্মাণ করা হয়। কালের বিবর্তণে ও ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের মেরামত ও সংস্কারের নামে ব্যাপক লুটপাটের কারণে ২০০২ ইং সালে কাজীরহাট ক্লোজারটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদী গর্ভে বিলীন হওয়া কাজীরহাট ক্লোজারের ২০ কিলোমিটার পিছনে ছোট ফেনী নদীর উপর মুচাপুর নামক স্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০৬ ইং সালে মুচাপুর ক্লোজারটি নির্মাণ কাজের উদ্ভোধন ঘোষণা করেন।

২০১৭ সালে উক্ত রেগুলেটরের কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সরজমিনে দেখা যায়, ২০০৬ ইং সালে যখন মুচাপর ক্লোজার নির্মাণ কাজ শুরু হয় তখন ক্লোজারের পিছনে পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা পুরাতন ডাকাতিয়া নদী প্রায় ৪ কিলেমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ক্লোজারের পিছনে অর্থাৎ ক্লোজারের দক্ষিণে ৪ কিলোমিটার জুড়ে ছিল কেওড়া বন। কেওড়া বনের মধ্যে দিয়ে খাল কেটে ক্লোজারের পানি প্রবাহিত করা হয়। বর্তমানে ডাকাতিয়া নদী ভাঙন মুচাপুর ক্লোজারে আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এখন থেকে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন রোধ করা না হলে মুচাপুর ক্লোজার ভেঙে নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে বলে অনেকে অভিমত প্রকাশ করেন। সরজমিনে জানা যায় পুরাতন ডাকাতিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙন রোধে নদীতে বøক দেওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, ওই সব বøকে ভাঙন রোধ নাও হতে পারে। অভিজ্ঞদের অভিমত, পুরাতন ডাকাতিয়া নদী বর্তমান বামনি নদীতে একটি ক্লোজার নির্মাণ করা হলে নদী ভাঙন রোধ হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ