‘গতকাল বৃহস্পতিবার সরকার আদালত অবমাননা করেছে। বিএসএমএমইউর উপাচার্য আদালত অবমাননা করেছেন। কারণ আদালত ৫ তারিখের মধ্যে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। কোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন যে, এই রিপোর্ট ডাক্তারদের স্বাক্ষরসহ হাজির করতে হবে। কিন্তু তারা করেননি। তার আগের দিন প্রধানমন্ত্রী বললেন ‘খুব ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।’ এমন বক্তব্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ করে অবমাননা করেছেন।’-
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেছেন।
আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আবদুস সালাম হলে '৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য আয়োজিত খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তারেক রহমানের সাজা বাতিল এবং স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। ডাক্তাররা বলছেন, বিলম্ব হলে তাকে সুস্থ অবস্থায় আর পাওয়া যাবে না। এমনকি প্রাণহানিও হতে পারে। আমরা বলছি, সবকিছু বাদ দেন। অন্তত মানবিক কারণে তাকে মুক্তি দিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের ভূমিকার সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সবসময় সরকারের স্বার্থরক্ষার জন্য চেষ্টা করেন। এমনভাবে চেষ্টা করেন যে, সরকারের না হয় দলের স্বার্থরক্ষার জন্য চেষ্টা করেন। এতকিছুর পরও আমরা হতাশ হয়েছি, সুপ্রিমকোর্টের বিচার বিভাগ এ বিষয়টিকে লক্ষ্য করেনি। এই বিষয়ে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেয়নি।’
ফখরুল আরও বলেছেন, সরকারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা) যখন বলেন যে, সব ঠিক আছে, তিনি (খালেদা জিয়া) সুস্থ আছেন, রাজার হালতে আছেন; তখন বিএসএমএমইউর উপাচার্য ও ডাক্তারদের ঘাড়ে কয়টা মাথা আছে যে, বলবেন তিনি (খালেদা) খারাপ আছেন।
এদিকে প্রধান বিচারপতির লেখা বই থেকে উদ্ধৃত করে ফখরুল বলেন, দেশে ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে। সিনহা সাহেব তার বইতে বলে গিয়েছিলেন, আমাদের যা কিছু অর্জন, তা দানবের মতো সবকিছু তছনছ করে দিচ্ছে। আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্র সব ধ্বংস।’
আলোচনাসভায় ডাকসুর সাবেক ভিপি ও
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাবেক ছাত্রনেতা ও
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।