পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষেত্রবিশেষে অনাত্মীয়রাও মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ একে অন্যকে দান করতে পারবেন। অসুস্থ ব্যক্তিকে আর ‘নিকটাত্মীয়’র গ-িতে আবদ্ধ থাকতে হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিদ্যমান আইন সংশোধন করে এ রায়টি অন্তর্ভুক্ত করতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ৬ মাস সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত। রিটকারী প্রতিষ্ঠান ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)র পক্ষে শুনানি করেন জেড আই খান পান্না। সহায়তা করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। আদেশ সম্পর্কে রাশনা ইমাম বলেন, আজকের রায়ের ফলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানে নিকট আত্মীয়ের গ-িতে আর পড়তে হবে না। নিকট আত্মীয় ছাড়া আর কেউ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করতে পারবে না, আইনের এমন বিধান আর কার্যকর থাকছে না। সেই সঙ্গে আদালত এ-সংক্রান্ত আইন ও বিধিমালাও সংশোধন করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
রাশনা ইমাম আরো বলেন, আইন অনুসারে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেনা-বেচা নিষিদ্ধ। তাই আদালত কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। এসব নির্দেশনায় আদালত বলেছেন, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানের ক্ষেত্রে ‘ইমোশনাল ডোনেশন’ হচ্ছে কি না, তা যাচাই-বাছাই করার জন্য প্রত্যেকটি হাসপাতালে একটি করে প্রত্যয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে। ওই বোর্ড আত্মীয়-স্বজনদের তথ্য সংগ্রহ করে দাতার সঙ্গে রোগীর পরিচয় নির্ণয় করবে। দাতা স্বেচ্ছায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করছেন কি না, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেনা-বেচা হচ্ছে কি না, দাতা মানসিকভাবে সুস্থ বা মাদকাসক্ত কি না, তাও নির্ণয় করতে হবে।
প্রসঙ্গত: নিকট আত্মীয় ছাড়া মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করার সুযোগ না রাখায় আইনের প্রসার বাড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন রাশনা ইমাম। ওই রিটের শুনানিতে ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনের ৩টি ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। মানবদেহ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন, ১৯৯৯-এর ধারা ৩টি হলো ২(গ), ৩ ও ৬ ধারা। এছাড়া ১৯৯৯ সালের আইনের কয়েকটি বিধি প্রণয়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়। গত ২১ নভেম্বর এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদেশের তারিখ ধার্য হয়। গতকাল হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।