Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনুমোদনহীন ইটভাটা

মধুখালীতে নষ্ট হচ্ছে তিন ফসলি জমি

ফরিদপুর জেলা ও মধুখালী উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের গোমারা গ্রামে ঘনবসতি ও তিন ফসলী জমিতে ইটভাটা করায় স্থানীয় ৩/৪ গ্রামের মানুষ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবরসহ বিভিন্ন দপ্তরে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের গোমারা গ্রামে তিন ফসলি জমি ও ঘনবসতি এলাকায় এমএমকেবি ব্রিকস নামক ভাটাটি অবস্থিত। অভিযোগ কারীগণ লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন পাশে মধুমতি নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। ইটভাটায় ব্যবহৃত যানগুলি বেপড়য়া গতীতে চলাচল করায় রাস্তার যেমন ক্ষতি হচ্ছে, ঝুঁকি বাড়ছে কোমলমতি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে। প্রচন্ড হুমকির মুখে স্থানীয় পরিবেশ।
ঘনবসতিপূর্ন ইট ভাটাটি স্থাপিত হওয়ায় এবং অভিযোগ কারীদের দাবি ভাটাটি পরিবেশ আইন মেনে প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। অবৈধ ভাটাটি উচ্ছেদের দাবি করেন অভিযোগ কারীগন।
এ ব্যাপারে ইট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের একজন মো. মিটুলকে ফোনে ভাটার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন সকল কাগজপত্রই আমাদের আছে বলে তিনি দাবি করেন।
বিশেষ সুত্রে জানা যায়, ইটভাটা মালিক পক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কোন অস্তিত নাই। অভিযোগ কারিদের একজন মিটাইন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.লিয়াকত আলী খানের মোবাইলে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এই প্রতিবেদককে জানান ভাটা করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভাটা মালিকদের নাই। আমি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় আমাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মোবাইল থেকে হুমকি দিচ্ছে। অভিযোগপত্র তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করছে। অভিযোগপত্র না তুলে নিলে ভবিষতের জন্য অসুবিধা আছে বলে হুমকি দিচ্ছে।
ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. লুৎফর রহমানের মোবাইলে ভাটার ছাড়পত্র প্রদান করেছন কি না জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের পরিচয় জানতে চান, পরিচয় দিলে তিনি বলেন আমি খুবই অসুস্থ কথা বলতে পারবো না এবং ফোনের লাইন কেটে দেন।
মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা মনোয়ার এর মোবাইলে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশসকের কার্যলয়ে তদন্তাধীন আছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাব মন্ডলের কাছে ছাড়পত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কৃষি জমিতে ভাটা করার জন্য আমি কোন প্রকার ছাড়পত্র প্রদান করি নাই। নিয়ম হচ্ছে বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতালের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে কোন ইটভাট করা যাবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ