পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিটফোর্ড হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বহির্বিভাগের চিকিৎসক সরদার হোসেন (ছদ্মনাম)। আবুল কালাম নামে এক রোগীর ব্যবস্থাপত্রে সরদার হোসেন বিবিএম শ্যাম্পু ও ইম্যাক্স-১০০০ নামে একটি ফুড সাপ্লিমেন্ট ব্যবহারের নির্দেশ দেন। খাদিজা নামে এক রোগীকে কিটোসোপ নামে একটি সাবান লিখেন। অনুসন্ধানে দেখা যায়, চিকিৎসকের পরামর্শ দেয়া সাবান, শ্যাম্পু ও ফুড সাপ্লিমেন্ট ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদনবিহীন।
এদিকে নাক-কান ও গলা বিভাগের একজন চিকিৎসক মো. শহীদ নামে এক রোগীর ব্যবস্থাপত্রে ও-টিক ও বিলোফর্ট নামে দুটি ওষুধ ব্যবহারের নির্দেশনা দেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, ওষুধটি অনুমোদনবিহীন। অর্থপেডিক্স বহির্বিভাগের একজন চিকিৎসক ফজলু নামে এক রোগীর ব্যবস্থাপত্রে নিউরোটিক নামে একটি অনুমোদনবিহীন ওষুধ লিখেন। কয়েক মাস আগে সপরিবারে ইন্দোনেশিয়ায় বেড়াতে যান রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সরকারি হাসপাতালের একজন চিকিৎসক। তার এই ব্যয় বহন করে ওষুধ প্রস্তুতকারক একটি প্রতিষ্ঠান। শুধু তিনি নন, তার বিভাগের প্রায় ১০ জন চিকিৎসক বিভিন্ন সময় সপরিবারে বিদেশ ঘুরে এসেছেন ওষুধ কোম্পানির টাকায়। রাজধানীর আরেকটি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের বাসায় পাঠানো হয়েছে নতুন ফ্রিজ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান থেকে উপহারস্বরূপ ওই ফ্রিজ পাঠানো হয়েছে। কোম্পানির নিয়োগকৃত মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের (এমআর) মাধ্যমে চিকিৎসকের বাসায় উপহারসামগ্রীটি পৌঁছে দেয় ওষুধ কোম্পানি।
বিদেশ ভ্রমণ বা উপঢৌকন হিসেবে ফ্রিজ, টেলিভিশন, ফার্নিচারই শুধু নয়, কোনো কোনো ওষুধ কোম্পানি চিকিৎসকদের ফ্ল্যাট-গাড়ির মতো দামি উপহারও দিয়ে থাকে। এসবই তারা করছে ওষুধ বিপণনের প্রয়োজনে। বিআইডিএস’র নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ওষুধ প্রস্তুতকারীরা তাদের পণ্য নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকদের বোঝাতে বড় ব্যয় করতে হচ্ছে বলে বাংলাদেশে ওষুধের দাম বেশি। আর এই বিপণন বাবদ মোট টার্নওভারের ২৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ ব্যয় করছে কোম্পানিগুলো বলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে গত রোববার এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরে। এতে আরও বলা হয়, কখনও কখনও ওষুধ প্রস্তুতকারীরা ছুটির দিনগুলো কাটাতে বা একটি বড় সেমিনারে অংশ নিতে চিকিৎসকদের পুরো পরিবারকে বিদেশেও পাঠায়।
দেশে ওষুধের বাজারের আকার এরই মধ্যে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এ হিসাবে শুধু বিপণন বাবদ ওষুধ কোম্পানিগুলো বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করছে। যদিও ওষুধের বিজ্ঞাপন প্রচারে বিধিনিষেধ থাকায় এ কৌশল অবলম্বন করছে কোম্পানিগুলো। কারণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া প্রচারমাধ্যমে ওষুধের বিজ্ঞাপন প্রচার ১৯৮২ সালের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বিপণন ব্যয়ের খাত সম্পর্কে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমআরের মাধ্যমে চিকিৎসক ও ফার্মেসিতে ওষুধ পৌঁছে দিতে, হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরিতে ও বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে ক্যাম্পেইনে এ অর্থ ব্যয় করছে কোম্পানিগুলো। টেন্ডার ও বিজ্ঞাপনেও কিছু অর্থ ব্যয় করা হয়।
অথচ স্বল্পোন্নত দেশের অন্তর্ভুক্ত বলে বাংলাদেশ প্রথমে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যে কোনো পেটেন্টপ্রাপ্ত ওষুধ জেনেরিক ফর্মে উৎপাদন করার সুযোগ পেয়েছিল। পরে ২০১৫ সালের ৬ নভেম্বর জেনেভার ট্রেড রিলেটেড অ্যাসপেক্ট অব ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস (ট্রিপস) কাউন্সিলের এক বৈঠকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ২০৩৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ওষুধের মেধাস্বত্ব ছাড় দেয়। যা ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের জন্য একটি আশীর্বাদ। ২০০১ সালের নভেম্বরে দোহায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মন্ত্রীপর্যায়ের এক সম্মেলনে ট্রিপস চুক্তি এবং ওষুধের সহজলভ্যতার প্রশ্নে এক ঘোষণা দেয়া হয়। উন্নয়নশীল দেশের মানুষ যাতে সস্তায় ওষুধ কিনতে পারে এবং উপকৃত হয় সেই বিবেচনায় এই সুবিধা দেয়া হলেও কোম্পানির বিপণন কৌশল ও চিকিৎসকের দায়িত্বহীনতা এ দুইয়ের সমন্বয়ে বাড়ছে ওষুধের ব্যয় এবং চিকিৎসকদের অনৈতিক চর্চা। নানা সুবিধা সত্তে¡ও চিকিৎসক ও কোম্পানির অসাধুতায় বাড়ছে ওষুধের দাম। যা মেটাতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের অনেক দেশে ওষুধ বিপণন একটি নিয়মের মধ্যে এলেও দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশে তা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না। ওষুধ কোম্পানির টাকায় চিকিৎসকদের বিদেশ ভ্রমণ বা উপঢৌকন নেয়ার মতো অনৈতিক চর্চাগুলো তদারকির মধ্যে নেই। ফলে বিপণন খরচের বড় অংশ অনৈতিকভাবে ব্যয় হচ্ছে। ওষুধের বিজ্ঞাপন প্রচারে বিধিনিষেধ সত্তে¡ও বিপণন ব্যয়ের এ পরিমাণকে অস্বাভাবিক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, রোগীদের আস্থা ফেরাতে চিকিৎসকদের আনইথিক্যাল প্রাকটিস বন্ধ করতে হবে। এটি বন্ধ করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে শক্তিশালী ভ‚মিকা পালন করতে হবে। যারা অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
সূত্র মতে, স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসকদের আনইথিক্যাল প্র্যাকটিস বা অনৈতিক চর্চা বৃদ্ধির ফলে স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে মানুষের বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে। অপরদিকে মানুষের দেশের চিকিৎসকদের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। ফলে অনেকেই বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন। এর আগে বিএমসি মেডিক্যাল ইথিকস নামে এক গবেষণায় ফার্মা সেক্টরে চিকিৎসকদের অনৈতিক বাণিজ্যের বিষয়টি উঠে এসেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওষুধ কোম্পানিদের কাছ থেকে উপঢৌকনের বিনিময়ে ওষুধ লেখা, কমিশনের কারণে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ও পরীক্ষা পেসক্রাইব, নিষিদ্ধ ওষুধ লেখা, অনুমোদনবিহীন ডিগ্রি ব্যবহার করা, সনদের মেয়াদ শেষ হলেও নবায়ন না করা, করোনারি স্টেন্ট স্থাপন, ইন্ট্রাকুলার লেন্স স্থাপনে কমিশন বাণিজ্য, ওষুধ ও সার্জ্যক্যিাল দোকানীদের মাধ্যমে অর্থ আদায়, সরকারী হাসপাতালে কর্মরত থেকে অফিস সময়ে বেসরকারীতে রোগী দেখা, নিজেদের ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক ও হাসপাতালে দালাল নিয়োগ করে রোগী ভাগিয়ে নেয়া এখন চিকিৎসকদের নিয়মরীতিতে পরিণত হয়েছে।
বিআইডিএস’র সিনিয়র গবেষণা সহযোগী নাজনীন আহমেদ বলেন, ওষুধ প্রস্তুতকারীরা কখনও কখনও চিকিৎসকদের উপহার দেয় বা চিকিৎসকদের অ্যাকাউন্টে প্রচুর পরিমাণে অর্থ দেয়। যাতে তারা তাদের ওষুধের পরামর্শ দেয়ার জন্য উৎসাহ বোধ করে। আর এসব কাজ করা হয় কোম্পানির এমআরের মাধ্যমে। তিনি বলেন, বিপণনে ওষুধ কোম্পানীর ব্যয় ওষুধের উৎপাদন ব্যয়ে যোগ হওয়ায় বাজারে ওষুধের দাম বেড়ে যায়।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক সময় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা চিকিৎসকদের ফিজিসিয়ান স্যাম্পল দিতেন। চিকিৎসকরা সেগুলো দরিদ্র রোগীদের মধ্যে বিতরণ করতেন। চিকিৎসকরা সরকারী হাসপাতালের বাইরে রোগী পাঠানোর কথা চিন্তাই করতেন না। কিন্তু আস্তে আস্তে দিন বদলেছে। চিকিৎসকদের কাছে আসতে থাকে পরনের শাড়ি, শার্ট, প্যান্ট। পরবর্তীতে আসে টিভি ফ্রিজ ও শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি)। এরপর শুরু হয় দেশের কক্সবাজার, রাঙামাটিসহ বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ। পরে শুরু হয় বিদেশ ভ্রমণ। এখন বিদেশ ভ্রমণ স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। যে কোনো সভা-সেমিনার হলে সেখানে ওষুধ কোম্পানীর অংশগ্রহণ থাকছে।
২০১৫ সালের বিএমসি মেডিক্যাল ইথিকসের এক গবেষণায় বলা হয়, চিকিৎসকদের অনৈতিকের পথে ঠেলা দেয়ার পেছনে ওষুধ কোম্পানিগুলোর বড় ভ‚মিকা রয়েছে। রাজধানীর গ্রীণ রোড, কলাবাগান, ধানমন্ডি, গুলশান, বনানীসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সামনে চিকিৎসকদের নানা ধরণের ডিগ্রি সম্বলিত সাইনবোর্ড চোখে পড়ে। এছাড়া চিকিৎসকদের ভিজিটিং কার্ডেও নানা ধরণের ডিগ্রি উল্লেখ রয়েছে। অনুমোদনবিহীন এসব ডিগ্রি ব্যবহার করা অনৈতিক। এ বিষয়ে বিএমডিসি একটি সতর্কবাণী ওয়েবসাইটে দিয়ে চিকিৎসকদের সাবধান করে দিয়েছে মাত্র।
মিটফোর্ড এলাকার একাধিক ওষুধ বিক্রেতা জানান, হাসপাতাল থেকে আসা ১০টি ব্যবস্থাপত্রের মধ্যে কমপক্ষে ৫টিতে অনুমোদনবিহীন কিংবা ফুড সাপ্লিমেন্ট লেখা ব্যবস্থাপত্র পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবস্থাপত্র ওষুধ লেখা হচ্ছে কীনা? তা দেখার জন্য ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা অপেক্ষামাণ থাকেন। তারা রোগীর ব্যবস্থাপত্রের ছবি মোবাইল ফোনে তুলে নিচ্ছেন। সম্প্রতি এমন চিত্র দেখা গেছে হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বহির্বিভাগে।
এই হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোতে বেসরকারী ডায়াগনোস্টিক সেন্টার মেডিনোভার দু’জন প্রতিনিধি সার্বক্ষণিক রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করতে দেখা যায়। সব ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা হাসপাতালে থাকা সত্তে¡ও চিকিৎসকরা রোগীকে বাইরে থেকে রোগ নির্ণয় করাতে বাধ্য করছে। ব্যবস্থাপত্রে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমিশন ডিসকাউন্ট দেয়ার সুপারিশ করা হয়। শুধু মিটফোর্ড হাসপাতালই নয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হƒদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, জাতীয় অর্থপেডিক্স ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান-পঙ্গু হাসপাতালসহ দেশের সবগুলো সরকারী হাসপাতালে এমন চিত্র চোখে পড়ে।
অবশ্য গবেষণায় ওষুধ প্রতিষ্ঠানগুলোও বলছে, তারা চিকিৎসককে মোটিভেট করে। এমআরদের কাছে জানতে চাইলে তারা উপহার দেয়ার তথ্য জানিয়েছেন। বড় সেমিনারে পুরো পরিবারসহ যাওয়ার খরচ তারা বহন করেন। কিংবা হলিডে পালনের ব্যয়ও বহন করেন তারা। বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনও ওষুধ প্রতিষ্ঠানগুলো করে থাকে এমআরদের মাধ্যমে। শুধু চিকিৎসক নন, বড় ফার্মেসিতেও ওষুধ বিপণনের ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ ব্যয় বহন করে থাকেন এমআররা, যা পণ্য মূল্যতেও প্রভাব রাখে।
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ড. রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, ওষুধ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিপণন ব্যয় কোনোভাবেই ১৫ শতাংশের বেশি হওয়ার যৌক্তিকতা নেই। বিশ্বের অনেক দেশে ওষুধের বিপণন নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে এ বিতর্ক নিরসনে বিপণন ব্যয়ে জাতীয়ভাবে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। বাংলাদেশে নৈতিক চর্চা প্রায় অনুপস্থিত। সরকারের উচিত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিপণনের খাতগুলো নজরদারির মাধ্যমে তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করা।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএপিআই) সাধারণ সম্পাদক ও হাডসন ফার্মাসিউটিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শফিউজ্জামান বলেছেন, এমআররা ওষুধের নমুনা নিয়ে চিকিৎসকদের সাথে দেখা করেন। এ সময় যদি কলম দেয়া হয়, তবে ওষুধের দাম কি বাড়বে? বিদেশের চিকিৎসকদের পুরো পরিবার প্রেরণের বিষয়ে শফিউজ্জামান বলেছেন, এটি সত্য নয়। তিনি বলেন, গবেষকরা সঠিক রেফারেন্স দিতে পারলে এটি সঠিক হবে। অন্যথায়, এটি সঠিক নয়। শফিউজ্জামান বলেন, ওষুধের দাম অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সস্তা। বিএপিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রেনাটা লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ এস কায়সার কবির বলেন, বিপণন ব্যয় বেড়ে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা। এর প্রভাবে দেশের ওষুধ প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। মূলতঃ বøকবাস্টার পণ্যের স্বল্পতা বিপণনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।