পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত ঢাকার সবচেয়ে প্রকট ও জটিল সমস্যাটি হলো যানজট। যানজট নিরসনে নানা উদ্যোগ বিভিন্ন সময় নেয়া হলেও এ সমস্যার সমাধান কোনোভাবেই হচ্ছে না বরং তা আরও প্রকট হচ্ছে।
রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে চার দফায় স্বয়ংক্রিয় ও আধা-স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সংকেতের ব্যবস্থা চালু করেছিল সিটি কর্পোরেশন। যদিও রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহার না হওয়ায় সবগুলোই একপর্যায়ে মুখ থুবড়ে পড়ে। শৃঙ্খলা ফেরাতে এবার রাজধানীর সড়কে বসানো হচ্ছে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সংকেতবাতি’।
পরীক্ষামূলকভাবে এ সংকেত বাতি রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্থানে বসানোর কাজ সম্পন্ন করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। এ বাতি নিজ থেকে গাড়ির সংখ্যা শনাক্ত করে সংকেতের জন্য সময় নির্ধারণ করবে। গাড়ির সংখ্যা বুঝে ট্রাফিক সিগন্যাল চালু ও বন্ধের সংকেতও দেবে ডিভাইসটি। ২০২০ সালের ফেব্রæয়ারিতে এটা চালুর কথা।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, জাইকার অর্থায়নে পাইলট প্রজেক্টের আওতায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সংকেত বাতি। ডিটিসিএ প্রদত্ত প্রকল্পটির পরিচালক এ এস এম ইলিয়াস শাহ বলেন, গুলশান-১, মহাখালী মোড়, পল্টন মোড় ও ফুলবাড়িয়া মোড়ে আধুনিক এ সংকেতের ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। এতে খরচ হচ্ছে তিন কোটি টাকা। ইন্টিগ্রেটেড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের আওতায় জাইকা এ খাতে অর্থায়ন করছে। ২০১৫ সালের দিকে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়। বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি।
নতুন এ ব্যবস্থা কার্যকর হলে ট্রাফিক সিগন্যাল মেইনটেইনের জন্য পুলিশ লাগবে না। তবে এটা নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। কন্ট্রোল রুম থেকে তারা সবকিছু মনিটরিং করবে। ভিআইপি মুভমেন্টের কারণে সড়কে যানচলাচল বন্ধের প্রয়োজন হলে ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে পারবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে অনলাইনভিত্তিক জরিপ প্রতিষ্ঠান ‘নামবিও’ প্রকাশিত ট্রাফিক ইনডেক্স-২০১৯-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে যানজটের শহর এখন ঢাকা। এর পরই রয়েছে ভারতের কলকাতা শহর। তৃতীয় অবস্থানে নয়াদিল্লি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যানজটের কারণে শুধু ঢাকায় দৈনিক ৪০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, যার আর্থিক ক্ষতি বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা। যানজটের পরিস্থিতি দিন দিন যেভাবে খারাপ হচ্ছে, তাতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও যে বাড়বে, তা বলাবাহুল্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।