রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাদারীপুর জেলা সদরে আসতে কর্নপাড়া-বোতলা গ্রামের মাত্র ১ কিলোমিটার রাস্তাটি জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাস দিলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত না হওয়ায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কালকিনি উপজেলার বালীগ্রাম ইউনিয়নের শেষপ্রান্ত কর্নপাড়া ব্রিজ থেকে বোতলা দাখিল মাদরাসা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশার কারণে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ইউনিয়নের কর্নপাড়া-বোতলা নামে পরিচিত কাঁচা রাস্তাটি মানুষের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে বোতলা, পশ্চিমবালীগ্রাম ও দক্ষিনবালীগ্রাম ও আটিপাড়াসহ প্রায় ১০টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না। এতে করে জনদুর্ভোগ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। প্রায় ৯-১০ ফুট প্রস্থ ও এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাস্তাটি পাকাকরণ হয়নি। বৃষ্টির পানি জমে রাস্তার কাঁদা-মাটি ও বিভিন্ন স্থানে বড়-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে ধীরে-ধীরে এ রাস্তাটির ছোট হয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, বালীগ্রাম ইউনিয়নের ২-৩-৪নং ওয়ার্ডের বসবাসকারী মানুষের জন্য রাস্তাটি অতি গুরুত্বপ‚র্ণ। তাদের সহজতম যাতায়াত ব্যবস্থা এটি। এছাড়াও উপজেলার খুব কাছাকাছি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতিদিন এ এলাকার হাজার-হাজার মানুষ অটোরিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল যোগে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
হালিমন বেগম আক্ষেপ নিয়ে বলেন, বর্ষাকালে আমাগো রাস্তায় হাটু পর্যন্ত কাঁদা-পানি থাকে, তখন এ রাস্তা দিয়ে আমাগো চলাফেরা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। যখন বর্ষা মৌসুম শেষ হয়, তখন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। কত চেয়ারম্যান-মেম্বার আসে যায়, কিন্তু আমাগো রাস্তা আর পাকা হয় না। জন্ম থেকেই এ রাস্তাটা যেভাবে বেহাল দশা অবস্থায় দেখে আসছি, আজ পর্যন্ত ঠিক সেভাবেই পড়ে আছে। কেউ তো আমাগো রাস্তাটা পাকা করে দিলো না। কিন্তু কবে যে এই রাস্তাটি পাকা হবে তার কোনো খবর নেই।
ফাহিমা, রাজিয়া, রেবেকা ও আনোয়ারা বেগম তারা বলেন, এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা অবস্থায়ই পড়ে আছে। রাস্তাটিতে বড়-বড় গর্ত হয়ে গেছে। এখান দিয়ে স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে গেলে উল্টে পড়ে যেতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে অটোরিকশা ও ভ্যানের চাকা গর্তে ফেসে যায়। এতে করে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। আমাগো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভাগ্য উন্নয়ন হয় কিন্তু আমাগো রাস্তার উন্নয়ন হয় না। তাই রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
বালীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন কাছে জানতে চাইলে রাস্তা বেহালের সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, জনগনকে দুর্ভোগের হাত থেকে বাঁচাতে এ রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি কয়েকবার অবহিত করেছি।
আশা করি শিগগিরই টেন্ডার হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, আমি নতুন এসেছি রাস্তাটির বিষয় ভালো করে জানিনা। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে তারপর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।