রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফেনী সদর উপজেলার ৯নং লেমুয়া ইউনিয়নের গ্রামীণ রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা। দেখার কেউ নেই।
সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিমে লেমুয়া ইউনিয়ন অবস্থিত। এই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় ১০ থেকে ১৫টি রাস্তা যেমন লেমুয়া বাজারের পাশে ব্যাপারীকোনা বানিজ্যিক এলাকার রাস্তা, লেমুয়া স্কুলের পাশ হয়ে মিরগঞ্জ রাস্তা, ঘাটঘর থেকে মজুমদারহাট রাস্তা, লেমুয়া বাজার থেকে সওদাগর পাড়া হয়ে জলদাস বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা, দক্ষিণ লেমুয়া থেকে কেরানিয়া রাস্তা, আক্তার পুকুরপাড় থেকে চানপুর রাস্তা, লেমুয়া থেকে আনন্দপুর রাস্তা, ভাঙার তাকিয়া থেকে চানপুর রাস্তা, মাস্টারপাড়া হয়ে কসকা রাস্তা, লেমুয়া স্টিলব্রিজ হয়ে মমতাজ মিয়ার রাস্তার বেহাল অবস্থা। রাস্তার কার্পেটিং ওঠে গিয়ে খানাখন্দে গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাত্রী ও জনসাধারনকে চরম ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে। এদিকে মহাসড়কের লেমুয়া ব্রিজ থেকে নামলে বাজারের আগে অত্যান্ত জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির ২ পাশে জায়গা দখল করে বিশাল বালুর পাহাড় গড়ে তোলেন প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপন। প্রতিদিন এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ওপর প্রায় ৬০ থেকে ৮০ টি বড়বড় হাইড্রোলিক পিকআপ, ট্রাক রাস্তা দখল করে বালু লোড করার ফলে রাস্তায় চলাচলরত মোটর চালিত রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকসা ও টমটম চালকরা যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেই সাথে জনসাধারণ ও স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এদিকে রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কোন মাথা ব্যাথা নেই বলে স্থানীয়রা জানান। এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলি দিয়ে প্রতিদিন ১০০ রিকশা, ৩ থেকে ৪শ’ সিএনজি চালিত অটোরিকশা, টমটম চলত।এখন মাত্র ১০ থেকে ১৫টি গাড়ি রাস্তায় চলে। রাস্তা গাড়ি চালানোর অনুপযোগী হওয়ায় অন্য লাইনে গাড়ি চালায় বলে কয়েকজন গাড়ি চালক জানান। স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তাঘাটের বিষয় নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি গরম হয়ে যান। যখন হবার তখন হবে শুধু শুধু জামেলা করেন কেন। দূর দূর করে তাড়িয়ে দেন। তার আচরণে ক্ষুদ্ধ ইউনিয়নবাসী।
তারা আরো বলেন, লেমুয়া ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের কাঙ্খিত উন্নয়ন গত ১০ থেকে ১২ বছরেও আমরা চোখে দেখেনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বলেছি তারা রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হবে বলে আশস্থ করেন। কিন্তু ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, সবার আগে আপনার এলাকার রাস্তা করে দেব। আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। কিন্তু ভোটের পরে তাদের আর দেখা যায় না। বয়বৃদ্ধ হাসমত আলী বলেন, লেমুয়া মমতাজ মিয়ারহাট রাস্তার ১৫ বছরেও কোন কাজ হয়নি।
রাস্তার পিচ ওঠে গিয়ে দোলা জমিনের মতন দেখা যাচ্ছে। ভাই সিএনজিতে ওঠলে কোমরে ব্যাথা হয়ে যায়। এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমনেরলাই দোয়া করুমু বালা করি সংবাদ করেন, যেন রাস্তা অই যায়।’
এ বিষয়ে ফেনী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ আলম পাটোয়ারী জানান, লেমুয়া ইউনিয়নে তিনটি রাস্তার টেন্ডার হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।