রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে মো. মামুন বাদশা (৩২) নামে পুলিশ কনস্টেবলের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে তার ছোট ভাই রবিউল ইসলাম। বর্তমানে রবিউল বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলার চাড়োল ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা কনেস্টবল মো. মামুন বাদশার মা মনোয়ারা বেগম (৫২) কে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করলেও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ঘাতক সৎ ভাই মো. মামুন বাদশা। মামুন বাদশা ও আহত রবিউল ইসলাম এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নাজিম উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত রবিউলের মা আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা দায়ের করেন।
গতকাল শনিবার এ ব্যাপারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বেডে ব্যাথা ও যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন রবিউল।
রবিউলের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, গত শুক্রবার বিকেলে তার ছেলে রবিউল লাহিড়ী বাজারে গিয়ে মোবাইল কিনতে গিয়ে টাকা কম হয়ায় তার বাবা নাজিম উদ্দিনের নিকট ৫০০ টাকা ধার নেন। এর কিছুক্ষণ পর সে বাসায় এসে হাত মুখ ধৌত করতে গেলে তার সৎ ভাই তাকে ফোন করে জানায় সে তার বাবার কাছ থেকে যে ৫০০ টাকা নিয়েছে সেটা তার এখনি লাগবে। এমন কথা শোনার পর সে ক্ষিপ্ত হয়ে বাসা থেকে পাঁচশত টাকা নিয়ে তাদের পুরনো বাসায় গিয়ে তার বাবাকে টাকাটি ফেরৎ দিয়ে ক্ষোভের সঙ্গে বলে আমিও তোমার ছেলে মামুনও তোমার ছেলে, আমি পাঁচশত টাকা নেয়াতে এভাবে ফোন দিতে হবে এই নেও তোমার টাকা। এ সময় তার বাবা ছোট ছেলের এমন আচরণের কথা জানিয়ে মামুন বাদশাকে বাসায় আসতে বলে। এমন খবর পেয়ে মামুন দ্রæত বাসায় এসে রবিউলকে চড়-থাপ্পর মারতে থাকে। এক পর্যায়ে মামুনের মা মনোয়ারা বলে ওঠে এভাবে বলে কিছু হবে না ওকে মেরে ফেলতে পারিস না। একথা শোনার পর মামুন তার পকেট থেকে একটি টিপ চাকু বের করে রবিউলের বুকে ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় বুকের বাম দিক থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ দেখে চিৎকার করতে থাকে রবিউল। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় আর মামুন বাদশা ও তার মাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বালিয়াডাঙ্গী থানার এস আই ও এ মামলার আইও রাশেদুজ্জামান হেলাল জানান, খবর পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘাতক মামুন বাদশার মা ও মামলার ২ নং আসামি মনোয়ারা বেগমকে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় মামুন বাদশা। তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত মামুন বাদশার নামে বালিয়াডাঙ্গী থানায় আরও দুটি মামলা আছে। আসামিকে ধরতে জোর প্রচেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।