Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির নির্যাতনে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন মিতু

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

যৌতুকের তিন লাখ টাকা না পেয়ে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে আটকে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে স্বামী ও শ্বশুর পরিবারের বর্বর নির্যাতনে ২ দিন ধরে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে গৃহবধু মিতু। মিতু আক্তার(১৯) মঠবাড়িয়া উপজেলার সবুজনগর গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে। পাষÐ স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন আহত গৃহবধূকে হাসপাতালে না নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে শালিসীর কথা বলে গৃহবধূর পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরে আহত গৃহবধূকে ইউনিয়নর পরিষদ থেকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উদ্ধার করে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্বজনরা।
নির্যাতিত গৃহবধূ মিতুর মা পাখি বেগম জানান, ছয় মাস আগে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের সৌদি প্রবাসি মোঃ জাহাঙ্গীর আকনের ছেলে মোঃ জাহিদ আকনের সাথে মিতুর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বর পক্ষের সকল দাবি দাওয়া পূরণ করে কণে পক্ষ।
বিয়ের আগে স্বামী জাহিদ ঢাকায় চাকরি করার কথা বললেও বিয়ের পর কনে পক্ষ জানতে পারে জাহিদ বেকার। জাহিদের সৌদি প্রবাসি পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর আকন স¤প্রতি বাড়িতে আসলে মিতুর পরিবার তাকে দাওয়াত দিয়ে তাদের বাড়িতে নেয়। ওই সময় জাহিদের পরিবার থেকে জাহিদকে বিদেশ পাঠাবার জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করা হয়। মিতুর পরিবার এ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এরপর থেকেই স্বামী ও পরিরারের লোকজন গৃহবধূ মিতুর ওপর নির্দয়ভাবে শরীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায় গত মঙ্গলবার রাতে জাহিদ তার স্ত্রীকে বেঁধে নির্দয়ভাবে পেটায় এবং সাত দিনের মধ্যে টাকা না দিলে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এসময় জাহিদের মা কনক বেগম ও বোন শেফালি আক্তারও নির্যাতনে অংশ নেয়। গৃহবধূ গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে তার পরিবারের কাছে শালিসীর কথা বলে বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়ন পরিষদে আসতে খবর দেন। মিতুর পরিবারের স্বজনরা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে মিতু গুরুতর আহত অবস্থায় দেখেন।
এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিতুকে তার পরিবারের কাছে তুলে দিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। পরে মিতুকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. সোনিয়া আক্তার বলেন, গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটুনির দাগ রয়েছে। তাকে মারধর করা হয়েছে। চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সে শারিরীক ও মানসিকভাবে অসুস্থ। সুস্থ হতে কয়েকদিন সময় লাগবে। আহত মিতুর ভাই মনির হোসেন জানান, বোনের এমন নির্যাতনে আমরা ভীষণ কষ্টে আছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ