Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

লাইটার জাহাজ ধর্মঘট ব্যাহত পণ্য পরিবহন

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

পনেরো দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘটে চট্টগ্রাম থেকে দিনভর লাইটার জাহাজ (পণ্যবাহী ছোট জাহাজ) চলাচল বন্ধ ছিল। এতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্য পরিবহন ব্যাহত হয়। বহির্নোঙরের মাদার ভেসেল থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পণ্য খালাস বন্ধ রাখে শ্রমিকেরা। গতকাল সকাল থেকে কর্ণফুলীর ১৬টি ঘাটেও পণ্য খালাস বন্ধ ছিল। নৌপথে পণ্য খালাস হয়নি লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিউটিসি) নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশিদ বলেন, ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর এবং কর্ণফুলীর ১৬টি ঘাটে পণ্য খালাস বিঘিœত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বহির্নোঙরে যেসব লাইটার জাহাজ ছিল সেগুলোতে কাজ হয়েছে।

তবে সকাল থেকে লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের একাংশের বাধার কারণে আউটারে কাজ হয়নি। লাইটার মুভমেন্টও বন্ধ ছিল। পাশাপাশি কর্ণফুলী নদীর ঘাটগুলোতেও কাজ বন্ধ রাখে শ্রমিকেরা। ধর্মঘটের বিষয়টি আগে থেকে জানা থাকায় মঙ্গলবার বিকেল থেকেই আউটারে লাইটার যাওয়ার সংখ্যা কম ছিল।

বন্দরের বহির্নোঙরে থাকা মাদার ভেসেল (বড় জাহাজ), কর্ণফুলী নদীর ১৬টি ঘাট এবং বিভিন্ন জেটি থেকে এসসব লাইটার জাহাজে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল পরিবহন করা হয়। চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশে চলাচলকারী প্রায় দেড় হাজার লাইটার জাহাজ আছে। এসব জাহাজের মালিক প্রায় আটশজন। এগুলোসহ সারাদেশে সব নৌরুট মিলিয়ে প্রায় ছয় হাজার লাইটার জাহাজ চলাচল করে। গতকাল দিনভর ধর্মঘটের কারণে বেশিরভাগ লাইটার চলাচল বন্ধ ছিল। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার ও পণ্য উঠানামা স্বাভাবিক ছিল।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীকে চিটাগাং চেম্বার সভাপতির চিঠি : চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম লাইটারেজ শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার এক জরুরি পত্রে তিনি বলেন, লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রাখার পাশাপাশি সারাদেশে নৌ-পথে লাইটারেজ জাহাজ, কার্গো ট্রলার, বাল্ক হেড ইত্যাদি চলাচল বন্ধ রেখেছে। ফলশ্রুতিতে মাদার ভেসেল, লাইটারেজ জাহাজ ও বন্দরের ডেমারেজ চার্জসহ আমদানিকারকরা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও ভোগ্যপণ্য এবং শিল্পের আমদানিকৃত কাঁচামাল খালাস বন্ধ থাকার কারণে একদিকে যেমন বাজার অস্থিতিশীল হবে, অন্যদিকে তেমনি শিল্প মালিকগণ যথাসময়ে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে ব্যর্থ হবেন। ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকদের কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। ফলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে কোন ধরণের আলোচনা না করে শ্রমিকদের এ ধরণের কর্মবিরতি অনাকাঙ্খিত ও অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হতে পারে বলে মনে করেন চেম্বার সভাপতি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ