পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন আগামী ৩০ নভেম্বর। ওইদিন মহানগর দুটির কমিটি ঘোষণা করা হবে। কিন্তু ইতোমধ্যে কারা কমিটিতে পদ পাচ্ছেন তা নির্ধারিত হয়ে গেছে নিয়ে গুজব সৃষ্টি হয়েছে। সেই দুইজন নেতার অনুসারিরাও ব্যাপক প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। এমন গুজবের কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন মহানগর উত্তরের পদপ্রত্যাশী নেতারা। নেতাদের মধ্যে আগে যেমন উৎসবের আমেজ ছিল তাতে যেন ভাটা পড়েছে।
তবে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, সম্মেলনের আগে এরকম কথা বা গুজবের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে চিন্তিত হবার কিছুই নেই। সম্মেলনের দিন কমিটি ঘোষণা করা হবে। কারা নেতৃত্বে আসবেন সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ কিছু জানে না।
এ দিকে দলের ভেতরে ও বাইরে শুদ্ধি অভিযান শুরু করায় পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। দলে অনুপ্রবেশকারী, নবাগত, ভূইফোড় ও অবৈধ অর্থ-বিত্তের মালিক বনে যাওয়া নেতারা-কর্মীরা ইতিমধ্যেই গাঁ ঢাকা দিয়েছে এবং সামনের কাতারে উঠে আসছেন ত্যাগী, সৎ, আদর্শবান ও কর্মী বান্ধব নেতারা। ফলে অনেকেই হতাশ হয়ে আলোচনার বাইরে এখন।
সম্মেলনের আর বাকি দুই দিন। একদিকে সম্মেলন আয়োজনের ব্যস্ততা, আরেক দিকে পদ পাওয়ার দৌড়ঝাঁপ; ফলে ব্যস্ততা আর পেরেশানিতে দিন কাটছে নেতাদের। মহানগর উত্তরের বর্তশান সভাপতি রহমতউল্লাহ আবারও সভাপতি হিসেবে থাকতে চান। এ নিয়ে দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছেন। কিন্তু গত তিন বছরের মহানগরে তিনি কাজের গতি আনতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান এবার সভাপতি হবার দৌড়ে এগিয়ে আসেন। এছাড়াও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এম এ কাদের খান শক্তিশালী অবস্থানে আছেন। গত জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনের মনোনয়ন পেলেও শেষ পর্যন্ত দল নায়ক ফারুককে মনোনয়ন দেয়। সে হিসেবে মহানগর কমিটিতে কাদের খান পুরষ্কৃত হবেন বলে ধারণা নেতাদের । এছাড়াও মহানগরের সহ-সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও আসলামুল হক সহ-সভাপতি শেখ বজলুর রহমান সভাপতির আলোচনায় রয়েছেন। সাধারণ সম্পাদকের আলোচনায় আছেন মহানগরের কোষাধ্যক্ষ ওয়াকিল উদ্দিন, দুই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, হাবিব হাসান, দফতর সম্পাদক সাইফুল্লাহ সাইফুল।
এস এম মান্নান কচি অবিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক ছিলেন। ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান ১৯৮৮ সালে হরিরামপুর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এরপর বৃহত্তর উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘদিন। ঢাকা মহানগর ভাগ হলে তিনি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। হাবিব হাসান বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি দিয়েই আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু। যখন যে দায়িত্ব পেয়েছি তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি মহানগরের দায়িত্ব দেন তাহলে যথাযতভাবে পালনে করার চেষ্টা করবো।
এদিকে ওয়াকিল উদ্দিন দীর্ঘদিন গুলশান ও বনানী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে চার দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা তার। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যেখানে যে দায়িত্ব দেবেন তাই পালন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। সাইফুল্লাহ সাইফুল মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
সম্মেলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ইনকিলাবকে বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠন গতিশীল হবে। যারা বিতর্কিত, ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত, অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তারা কেউ পদে আসবে না। নেতৃত্ব নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও উত্তর আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, স্বচ্ছ, ক্লিন ইমেজ ও বিতর্কমুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন নেতারাই উত্তর আওয়ামী লীগের দায়িত্বে আসবেন। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।