পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী গুলশানের বহুল আলোচিত হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলার রায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ফলাও করে প্রকাশ করেছে। তিন বছর আগের ওই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা মামলার রায়ে ৮ আসামির মধ্যে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত ওই মামলার আট আসামির মধ্যে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান নামে একজন। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বুধবার দুপুরে রায় ঘোষণার পরই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স লিখেছে ‘বাংলাদেশে ২০১৬ সালের ক্যাফে হামলায় সাতজনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা’।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি হলি আর্টিসানের রায়ের খবরটি তাদের প্রধান সংবাদ হিসেবে ‘২০১৬ সালের ক্যাফে হামলায় ইসলামী চরমপন্থীদের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘২০১৬ সালে বেশিরভাগ বিদেশিসহ ২২ জন হত্যাকান্ডের ঘটনায় সাত জনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে বাংলাদেশ ‘।
বিবিসি বলছে, বাংলাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের ওই ভয়াবহ এই জঙ্গি হামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হামলা পরিকল্পনা ও পাঁচ হামলাকারীকে অস্ত্র যোগান দেয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারপর থেকে বাংলাদেশ ব্যাপক জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু করে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরারও ‘হলি আর্টিসান ক্যাফেতে হামলা, সাত জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে ঢাকার আদালত’ শিরোনামে তাদের প্রধান খবর প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, ‘রাজধানী শহরের একটি জনপ্রিয় ক্যাফেতে হামলার ঘটনায় যুগান্তকারী রায় দিয়েছে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির প্রমাণ দিয়েছে বাংলাদেশ।’
মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপি ‘ক্যাফে হামলায় সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে হলি আর্টিসান মামলার রায়ের খবর প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, বাংলাদেশের একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ২০১৬ সালের ঢাকায় বোমা হামলার ঘটনায় নিষিদ্ধগোষিত একটি জঙ্গি সংগঠনের সাত সদস্যকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স শিরোনাম করেছে, ২০১৬ সালের ক্যাফে হামলার দায়ে সাত জনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে বাংলাদেশ। তারা বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির অন্যতম ভয়াবহ এই হামলায় বেশিরভাগ বিদেশিসহ অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। আদালতে এক আসামি ‘আল্লাহু আকবর’ বলার ঘটনাটিও তারা উল্লেখ করেছে প্রতিবেদনে।
আরেক ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানও ‘২০১৬ সালের ক্যাফে হামলায় বাংলাদেশে সাতজনের মৃত্যুদন্ড’ শিরোনামে রায়ের খবর প্রকাশ করেছে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচেভেলেও, ‘বাংলাদেশ : ক্যাফেতে হামলার ঘটনায় সাত ইসলামি জঙ্গিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে। ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন।
ভারতের প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক অনলাইন প্রতিবেদনে হলি আর্টিসান মামলার রায়ের খবর প্রকাশ করেছে। ‘২০১৬ সালের ক্যাফে হামলায় সাতজনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে রায়ের খবর জানিয়ে তারা বলছে, হামলার সঙ্গে জড়িত এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট শিরোনাম করেছে, ‘২১০৬ সালে ঢাকায় বিদেশিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা মামলার রায়ে সাতজন ইসলামী চরমপন্থীর মৃত্যুদন্ড দিয়েছে বাংলাদেশ।’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএস নিউজ শিরোনাম করেছে, ‘২১০৬ সালের ক্যাফে হামলার দায়ে সাতজনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে বাংলাদেশ।’
এছাড়াও ভারতীয় প্রায় সব সংবাদমাধ্যম, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক কিছু গণমাধ্যম ও সংবাদ পর্যবেক্ষণ সংস্থা, ইউরোপ আর আমেরিকার গণমাধ্যম, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ছাঁড়াও অসংখ্য গণমাধ্যমে বুধবারের হলি আর্টিসান মামলার রায়ের খবর প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির আত্মঘাতী সদস্যরা।
তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি। বুধবারের রায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ।খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।
কি-ওয়ার্ড : হলি আর্টিজান, রায়, বিশ্ব মিডিয়া, প্রধান খবর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।