পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, বিনাভোটে যারা ক্ষমতায় থাকে তারা দানবীয় শক্তি। যারা মানুষের ভালোবাসা নিয়ে টিকে থাকে তারাই হচ্ছে আলোক ও দিব্য শক্তি। বিএনপি ও ছাত্রদল হচ্ছে আলোক শক্তি। সুতরাং দানবীয় শক্তি টিকে থাকতে পারবে না। তাদেরকে গলায় গামছা দিয়ে রাজপথে টেনে নামাতে বাধ্য করা হবে ইনশাআল্লাহ।
আজ বুধবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও বিনামূল্যে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির আয়োজন করে বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজ ছাত্রদল । সংগঠনের সভাপতি এএসএম রাকিবুল ইসলাম আকাশের সভাপতিত্বে কর্মসুচীর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লাবিদ রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, বেসরকারী মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক তানজীম রুবাইয়াত আফিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন ভুইয়া প্রমুখ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, তারেক রহমান পরিশ্রমী রাজনীতিবিদ। তিনি আগামীদিনের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। যিনি বাংলাদেশের অসহায় দরিদ্র মানুষের মধ্যে স্বাবলম্বী করার নানাবিধ কাজ করেছেন। আসলে তার রাজনীতি শুরুই হয়েছে মানবকল্যাণের মধ্য দিয়ে। যা কুচক্রী মহল ভালোভাবে নেয়নি। তারা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ টাটকা ডাহা মিথ্যা কথা বলে। কারণ জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আলো ও ন্যায়ের পথে। যারা প্রকৃত সাহসী তারাই মানবতার পক্ষে। ছাত্রদলের রক্তদান কর্মসূচি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। যারা ক্যাসিনো আর জুয়ার পক্ষে তারা তো আলোর পথে নেই।
রিজভী বলেন, আমরা গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন করছি। হামলা গুলি মামলা উপেক্ষা করে রাজপথে পেশাজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা নেমে পড়েছে। গতকাল আপনারা রাজপথে তার দেখেছেন। আজকে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ পরিবারের সন্তান জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে গ্রেফতার করেছে রাতের অন্ধকারে। অথচ প্রধানমন্ত্রী মুখে মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ যেন মুক্তিযুদ্ধের মালিক।
তিনি আরো বলেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে তো গণতন্ত্র। দেশে গণতন্ত্র থাকলে রাজপথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হবে এটা সাংবিধানিক অধিকার। আর আপনি সেসময় মুক্তিযোদ্ধা উলফাতকে গ্রেফতার করেন। আসলে আপনার মন ত রাজাকার দ্বারা আচ্ছাদিত। সারাদিন রাজাকারদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তাহলে রাজাকারদের পেঁয়াজ আমদানি করলেন কেনো? জিয়া আধুনিক সেনা বাহিনী গঠন করেছিলেন। অথচ ৭২-৭৫ সালে সেনাবাহিনীর পায়ে রাবারের জুতা দেয়া হতো।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজকে পুশইন করে ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে ঢুকানো হচ্ছে। কই সেখানে তো একটা কথাও বলেননা। আর বিএনপির নেতা কোনো কতা বললে তার বিরুদ্ধে মামলা আর হামলা।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় খেলা দেখতে গেলেন। তিনি ঘন্টা বাজাতে গেলেন। কিন্তু তাকে তো কেউ প্রোটোকল দেয়নি। ভারত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কেউ বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানায়নি। আসলে তিনি বাংলাদেশের মর্যাদার ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছেন। এরপরও তার ওসব নিয়ে কোনো চিন্তা নাই। আসলে তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার ক্ষমতা চাই। মানে "মেরেছে কলসির ফুটা তাই বলে কি প্রেম দিবোনা।"
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। তিনিই প্রথম ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করেছেন। আজকে আমাদের সম্পদ চুরি করে আওয়ামী লীগ তাদের বলে প্রচার করছে। বিএনপির আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ মেনে নিয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগের মূলনীতি বাঙালি জাতীয়তাবাদ। সুতরাং তারা বিএনপির বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। পেয়াজ ব্যবসায়ীকে মন্ত্রী বানালে পেয়াজের দাম কমেনা। ব্যাংক ব্যবসায়ীকে অর্থমন্ত্রী বানালে অর্থনীতি ধ্বংস হবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো ইনশাআল্লাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।