পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সড়ক পথে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আইনের বিধান অনুযায়ী সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের (চালক-হেলপার) নিয়োগপত্র দেবে মালিকপক্ষ। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই বৈঠকে ব্যক্তি মালিকানাধীন সড়ক পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বোর্ডের কার্যক্রম সচল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মুজিবুল হক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নজান সুফিয়ান, শাজাহান খান, মো. ইসরাফিল আলম ও শামসুন নাহার এবং সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়েত উল্যাহসহ মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান ও ব্যক্তি মালিকানাধীন সড়ক পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বোর্ডের কার্যক্রম বিষয়ে আলোচনার জন্য সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের ডাকা হয়। বৈঠকে আলোচনা শেষে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিরাও নিয়োগপত্র গ্রহণে সম্মত হয়েছে। এরআগে আলোচনায় অংশ নিয়ে মালিক ও শ্রমিক দুই পক্ষই নিয়োগপত্র দেওয়া- নেওয়া নিয়ে একে অন্যকে দোষারোপ করেন। কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনার প্রেক্ষিতে দুইপক্ষই একমত হয়েছে। এখন থেকে মালিকরা নিয়োগপত্র দেবেন এবং শ্রমিকরা নেবেন।
এদিকে কমিটির বৈঠকে শ্রমিকপক্ষ অভিযোগ করেন, মালিকরা তাদের নিয়োগপত্র দিতে অনীহা প্রকাশ করে। কারণ, মালিকপক্ষ মনে করে, দুর্ঘটনা বা অন্য কোনও সমস্যা হলে, তার দায় তাদের ওপর বর্তাবে। বিপরীতে মালিক প্রতিনিধিও পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, শ্রমিকরা সাধারণত ঘন ঘন কোম্পানি বা পরিবহন পরিবর্তন করেন, যে কারণে তারা নিয়োগপত্র নিতে চান না। তাদের বক্তব্য শেষে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের (ড্রাইভার ও শ্রমিক) নিয়োগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। বিষয়টি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের চিঠি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে মালিকানাধীন সড়ক পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বোর্ডের কার্যক্রম নিয়ে সংসদীয় কমিটি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ২০০৫ সালের আইনে বোর্ড গঠন হলেও পরিবহন শ্রমিকদের কল্যাণে কোনও ভূমিকা রাখতে পারেনি। এই বোর্ডকে এক কোটি টাকা ‘সিড মানি’ দেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা বেড়ে এখন এক কোটি ৭০ লাখ টাকা হয়েছে। কিন্তু এই টাকা শ্রমিকদের কাজে আসেনি। সড়ক পরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের টানাটানির কারণে বোর্ডকে কার্যকর করা যায়নি বলে কমিটি দাবি করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।