পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত নিয়ে আবারো ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ও ২৫ নভেম্বর ঢাকার পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান বর্তমানে ভারত দিল্লী সফরে রয়েছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে তারই মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল। ঢাকার বৈঠক স্থগিতের বিস্তারিত কারণ জানা যায়নি। তবে বৈঠক বাতিলের বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরীণ কারণেই বৈঠকটি আপাতত স্থগিত হয়েছে। সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে আশা করছি শিগগিরই বৈঠকের তারিখ পুননির্ধারণ হবে।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে সুখবর আসছে দেশটি সফর শেষে এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। গত রোববার ঢাকায় ছিল দুই দেশের যৌথ কমিটির বৈঠকের নির্ধারিত তারিখ। কিন্তু হঠাৎ করে বৈঠকটি স্থগিত করে মালয়েশিয়া। ফলে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল।
উল্লেখ্য, সরকারি বেসরকারি যৌথ ব্যবস্থাপনায় (জিটুজি প্লাস) ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দশ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রায় পৌনে তিন লাখ কর্মী মালয়েশিয়া যায়। সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় এক লাখ ৬০ হাজার টাকা হলেও কর্মী প্রতি সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত নেয় সিন্ডিকেট চক্র। এই সিন্ডিকেট চক্রের মূল হোতা দাতো আমিন বেস্টিনেট কোম্পানীর অনলাইনের মাধ্যমে কর্মী যেতো মালয়েশিয়ায়। দশ সিন্ডিকেট চক্রের অনৈতিক ব্যবসা পরিচালনার কারণে বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ করে দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ড.মাহাথির মোহাম্মদ।
এ বিষয়ে বায়রা মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান সাংবাদিকদের বলেন, মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেট বিহীনভাবে জনশক্তি রফতানি শুরু হবে এটা তো সিদ্ধান্ত হয়েই আছে। কিন্তু একটা প্রটোকল স্বাক্ষর হবে, সেই ব্যাপারটা নিয়ে দেরি হচ্ছে। আশা করছি, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তারিখ পুনরায় নির্ধারিত হবে।
তিনি আরো বলেন, মালয়েশিয়ার কেবিনেট বলে দিয়েছে, তাদের ছয় লাখ কর্মী প্রয়োজন। কী প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানো হবে সেটিও মোটামুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন কথা হলো, কবে থেকে শুরু হবে কর্মী পাঠানো সেটাই বিষয়। বায়রা মহাসচিব বলেন, আশা করছি, ডিসেম্বরের শুরুতে বা মাঝামাঝি সময়ে বৈঠকটি হবে।
গত ৬ নভেম্বর মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ। মন্ত্রীর বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, অভিবাসন ব্যয় কমাতে দুই দেশ একমত। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের দেশ ছাড়ার আগেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। অধিক সংখ্যায় রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠাতে পারবে। দুই দেশের মধ্যে যেসব আলোচনা হয়েছে, তা চূড়ান্ত করতে ঢাকায় ২৪ ও ২৫ নভেম্বর জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
কিন্ত মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারানের কি কারণে ঢাকায় আসলেন না বা কবে নাগাদ বৈঠক হবে তা’ বাংলাদেশকে অবহিত করা হয়নি। বায়রার ইসির সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী বাংলাদেশে না আসায় আমরা খুবই শঙ্কিত। তিনি বলেন, আমরা চাই মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশেও স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে সিন্ডিকেট বিহীন শ্রমবাজার চালু হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।