পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে রসুই ঘরের নিত্যপণ্য পেঁয়াজের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি ও দর কারসাজির অভিযোগ ইস্যুতে শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে ১৩ আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার কাকরাইলের শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে তাদের এই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গোয়েন্দা অধিদফতর থেকে তাদের ডেকে পাঠানো হয়। সে সময় সোমবার ও মঙ্গলবার পেঁয়াজ আমদানিকারকদের সশরীরে সংস্থাটির কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
এনবিআর জানায়, চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে গত ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর এসব পেঁয়াজ আমদানিকারক ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর চেষ্টা করছে এসব আমদানিকারকের কাছে বর্তমানে কী পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে তা জানতে। গতকাল অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। যারা আমদানি করেছেন, তারা আমদানির পরে কোথায় কোথায় বিক্রি করেছেন। কী মূল্যে বিক্রি করেছেন। এখন পর্যন্ত তাদের হাতে কত টন পেঁয়াজ মজুদ আছে, সেটাই আমরা জানার চেষ্টা করছি।
গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে ৪৭ আমদানিকারককে শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে তলব করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গতকাল কাকরাইলের শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে ১৩ আমদানিকারক তাদের বক্তব্য তুলে ধরছেন। আমদানিকারকদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী দাম বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ যাচাই করা হবে। এরপর দায়ীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সেগুনবাগিচায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর আধা ঘণ্টার বিরতি দেয়া হয়। বিরতির পর আবার শুনানি শুরু হয়। বিরতির সময় আমদানিকারকদের পক্ষ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক আব্দুল আওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, যাদের ডাকা হয়েছিল, তাদের মধ্যে আমাদের চারজনের শুনানি শেষ হয়েছে। আমদানিকারকদের কারসাজির জন্য পেঁয়াজের দাম লাগামহীন হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুনানি শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। শুনানিতে অংশ নেয়া ১০ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- রাজশাহীর এমএস ফুল মোহাম্মদ ট্রেডার্স, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একতা শস্যভান্ডার, এমএস সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, নূর এন্টারপ্রাইজ, এমএস আ এম অ্যাগ্রো, টিএম এন্টারপ্রাইজ ও বিএইচ ট্রেডিং অ্যান্ড কোম্পানি, সাতক্ষীরার এমএস দীপা এন্টারপ্রাইজ প্রোপার্টিজ, নওগাঁর জগদীশ চন্দ্র রায় এবং বগুড়ার এমএস সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ।
রাজধানীর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের নিজ কার্যালয়ে মহাপরিচালক সহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি পেঁয়াজের বাজার সহনশীল হয়ে যাবে। বিমানের কার্গোতে পেঁয়াজ আসছে, কিছু কিছু প্যাসেঞ্জার বিমানেও পেঁয়াজ আসছে। আমরা যেটা দেখছি, বাজারে এখনও যথেষ্ট পেঁয়াজ আছে। কোনো ঘাটতি নেই। তবে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বা সহনশীলতার বাইরে চলে গেছে।
এভাবে ডাকার ফলে আমদানিকারকদের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানিতে ভীতির সঞ্চার হতে পারে কি না- এর জবাবে সহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের জনবল কম। তাই তাদের ঢাকায় ডেকে এনেছি। তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে আলোচনা করছি। আমদানিকারকদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।