Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ত্রিপুরায় আত্মঘাতী পুরো পরিবার

ঋণের বোঝা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৭:৩১ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯

দারিদ্র ও ঋণের বোঝায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আত্মহত্যা করেছেন একই পরিবারের চার জন। ত্রিপুরা পশ্চিম জেলার পূর্ব চানপুর এডিসি ভিলেজের সন্ন্যাসীমুড়ায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার তাদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ত্রিপুরায় কাজের অভাব ও চড়া সুদে বেসরকারি সংস্থার ঋণকেই দায়ী করেছে রাজ্যের বিরোধী দল সিপিএম।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পেশায় দিনমজুর পরেশ তাঁতি তার দুই সন্তান বিশাল ও রূপালিকে বিষ খাইয়ে হত্যা করার পর সে নিজে ও তার স্ত্রী সন্ধ্যা তাঁতি গলায় দড়ি দিয়ে আন্তহত্যা করেছে বলে জানা গিয়েছে। বাড়ির কাছেই একটি গাছে দম্পতির দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সন্ন্যাসীমুড়ার পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে যান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার, সিপিএমের আরও দুই বিধায়ক সুদন দাস ও রতন ভৌমিক, স্বশাসিত জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য পরীক্ষিত মুরা সিংহ। স্থানীয়দের কাছে খোঁজ খবর নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মানিক সরকার অভিযোগ করেছেন, গোটা ত্রিপুরায় অরাজকতা চলছে। কাজ ও খাদ্যের অভাব চার দিকে। এলাকার লোকজন ও পরেশ তাঁতির শাশুড়ি অঞ্জনা তাঁতির সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পেরেছেন, কাজ না-পাওয়ায় অনাহারের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল পরিবারে। সে কারণেই চরম পথ বেছে নেয় পরেশের পরিবার। বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণও নিয়েছিলেন পরেশ। তা শোধ করতে না-পারার যন্ত্রণাও তাকে হতাশার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

তার আবেদন, রাজ্যে কাজ না-পেয়ে অনাহারে যাতে কারও মৃত্যু না হয়, তার জন্য কর্মসংস্থানের দিকে রাজ্য সরকারের নজর দেয়া প্রয়োজন। রাজ্যে চড়া সুদে ঋণ দিচ্ছে যে সব সংস্থা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে বিজেপি-আইপিএফটি জোটের সরকার অবশ্য অভাবের তাড়নায় মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেছে। এর আগে সিপিএম অভিযোগ করেছিল, বিজেপি-আইপিএফটি জোটের সরকার উৎসবের আয়োজন করছে সরকারি অর্থের অপচয় করে। এ দিকে সারা রাজ্যে চলছে কাজ ও খাদ্যের আকাল।

সন্ধ্যার মা অঞ্জনা জানান, ‘জমি নিয়ে খুবই সমস্যায় পড়েছিল তারা। ছেলে জমি বেচে দিয়েছিল। আর্থিক অনটন ও ভয়েই আত্মহত্যা করেছে গোটা পরিবার।’ তাদের পরিবারের এক আত্মীয় দাবি করেন, এভাবে আত্মঘাতী হওয়ার কোনও গুরুত্বপ‚র্ণ কারণ তাদের জানা নেই। তবে প্রায়শই তাদের মধ্যে ঝগড়া-অশান্তি লেগে থাকত। সে কারণেই হয়তো এভাবে নিজেদের শেষ করার সিদ্ধান্ত। সূত্র : টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আত্মঘাতী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ