Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোটালীপাড়ায় চারটি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হয়নি

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

কোটালীপাড়ায় রাধাগঞ্জ ইউনিয়নে টিআর কাবিখার চারটি প্রকল্পের কাজ এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এসব প্রকল্পের কাজ গত জুন মাসে শেষ হয়ার কথা ছিল। প্রকল্প চারটি রাধাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অমৃত লাল হালদার ও সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ফাহারিয়া ইসলাম জোতির বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে।
জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে টিআর ও কাবিখার আওতায় রাধাগঞ্জ ইউনিয়নে ৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুক‚লে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
সরজমিনে দেখা যায়, সিতাইকুন্ড ওবায়দুল গাজীর বাড়ি হতে বাচ্চু হাওলাদারের বাড়ি পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে মাটির কাজ করেন মহিলা ইউপি সদস্য ফাহারিয়া ইসলাম জোতি। দক্ষিণ বটবাড়ি সার্বজনীন দূর্গামন্দির ও কালি মন্দিরের মাঠ ভরাটে ২৫ হাজার টাকা, নারকেলবাড়ি করিম হাওলাদারের বাড়ির পাশে ব্রিজের গোড়া হতে বাবুল হাওলাদারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করেন চেয়ারম্যান অমৃত লাল হালদার। অপর দিকে নারকেলবাড়ি হাইস্কুলের কোনা হতে কলম মুন্সির বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা না করেই চারটি প্রকল্প থেকে প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেন। প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ৮৭ হাজার ২শ ২৭ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। বটবাড়ি দূর্গা ও কালিমন্দির কমিটির সভাপতি অমল মন্ডল বলেন, মাঠ ভরাটের জন্য চেয়ারম্যান মাত্র ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে। নারিকেলবাড়ি করিম হাওলাদারের বাড়ির পাশে ব্রিজের গোড়া হতে বাবুল হাওলাদারের বাড়ি পর্যন্ত। রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট হরশিত বলেন, রাস্তা নির্মাণে চেয়ারম্যানের সাথে আমার ৩০ হাজার টাকায় চুক্তি হয়েছিল। সিতাইকুন্ড ওবায়দুল গাজীর বাড়ি হতে বাচ্চু হাওলাদারের বাড়ি পর্যন্ত। রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প এলাকার কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্ধারা বলেন, রেজাউল হাওলাদারের মাধ্যমে ৩শ টাকা করে ৬ জন শ্রমিককে দিয়ে ৫ দিন কাজ করেছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ ৩০ জুনের মধ্যে সমাপ্ত করার কথা থাকলেও কোনো কোনো প্রকল্পে কাজই করা হয় নাই।
ইউপি সদস্য হাজী মো. কামাল হোসেন বলেন, এ সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে চেয়ারম্যান কোনো সদস্যের সাথে কোনো প্রকার আলাপ আলোচনা করে নাই।
রাধাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অমৃত লাল হালদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। সিতাইকুন্ড প্রকল্পের সিপিসি ফারিয়া ইসলাম জোতির কাছে ৮৭ হাজার ২শত ২৭ টাকার প্রকল্পে ১০ হাজার টাকা ব্যয় করা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পিআইও অফিসের কাশেম ভাই জানে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দিলিপ দে বলেন, আগের কাজের বিষয়ে আমি কোনো বক্তব্য দিব না, কারণ আমি কিছুই দেখি নাই এবং জানি না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ