পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মমতা ব্যানার্জীর সাক্ষাৎ শাড়ী আদান-প্রদানেই সীমাবদ্ধ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তার পানি নিয়ে একটা সুরাহা করে আসবেন। শেখ হাসিনা ও মমতা ব্যানার্জীর সাক্ষাৎ কেবলমাত্র শাড়ী আদান-প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য দুরে থাক, কোন হিস্যাই পাওয়া যায়নি। ফেনী নদীর পানি বিনিময় ছাড়াই উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে। এসব কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল উষর মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। সেচ মৌসুম চলছে অথচ এখনই নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ অন্যান্য এলাকায় সেচের পানি সংকট দেখা দিয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়ে কোন আলোচনাই করেননি। প্রায় প্রতিদিন সীমান্ত হত্যা চলছে, এ নিয়েও শেখ হাসিনা মুখ বন্ধ রেখেছেন। সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা যেন নৃশংস দস্যুতার নামান্তর। দেশ মরুভূমি হয়ে যাক, সীমান্তে প্রতিদিন বাংলাদেশী মানুষ মরুক তাতে শেখ হাসিনার কিছু আসে যায় না। তিনি নিজ দেশের জনগণের অন্তুরুদ্ধ ক্ষোভ টের পান না। তিনি শুধু দিতেই জানেন, নিতে জানেন না। তাঁর ক্ষমতার সোনার হরিণটি নিশ্চিত হলেই তিনি সন্তুষ্ট। আওয়ামী লীগের ভাবাদর্শ হচ্ছে নিজ দেশে অত্যাচারী আর অন্য দেশের প্রতি নতজানু থাকা।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বলেন, ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন-‘সরকার দেশের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, কিন্তু বিএনপি’র মুখ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই’। এই বক্তব্যের মাধ্যমে ওবায়দুল কাদের সাহেব নিজের অজান্তেই স্বীকার করে নিলেন-আইন আদালত, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মিথ্যা সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখেছেন। মানুষের ভোটাধিকারও নিয়ন্ত্রণ করে রেখে ভোটের আগের রাতের ভোট প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিতে সক্ষম হয়েছেন, কারারুদ্ধ করে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এমনকি গোরস্থানকে নিয়ন্ত্রণ করে লাশের বিরুদ্ধে মামলা দিতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি বলেন, আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে সম্রাট, জি কে শামীম, খালেদ হোসেনদের মতো চুনোপুটিদের নাম জানা গেছে, কিন্তু রাঘব-বোয়ালদের লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মুক্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। গুম-খুন-ক্রসফায়ারের মুখেও বিএনপি যেটুকু বলছে সেটিকেও তিনি স্তদ্ধ করে দিতে ইঙ্গিত হচ্ছে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য। তাঁর বক্তব্য একচেটিয়া স্বৈরশাসকদের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বণি।
বাণিজ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেনন, গতকাল বানিজ্যমন্ত্রী বলেছেন-মানুষ বিমানে চড়তে পারে না, আর আমি বিদেশ থেকে বিমানে পেঁয়াজ নিয়ে আসছি। অবৈধ সরকারের গবুচন্দ্র মন্ত্রীদের মুখে এধরণের কান্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যই শোভা পায়। জনশ্রুতি আছে-ব্যবসায়ী মন্ত্রীদের নেতৃত্বেই নাকি বাজার সিন্ডিকেট করে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা লোপাট চলছে। পেঁয়াজের যখন ভয়াবহ সংকট চলছে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার যখন নিয়ন্ত্রণহীন তখন তাঁর দেখা মেলে না। গতকাল হঠাৎ হাজির হয়ে তিনি উদ্ভট মন্তব্য করলেন। তাঁর এধরণের বক্তব্য জনগণের সঙ্গে ইয়ার্কি ছাড়া কিছু নয়। বানিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আকাশচুম্বী করেছে বলে জনগণ মনে করে। আর একারণেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে কোন নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের।
জনগণ খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ মন্তব্য করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, গণতন্ত্রের মা’ এদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা দিনের পর দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। অথচ দেশনেত্রীর জামিন কিংবা সুচিকিৎসার ব্যাপারে প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকারের নিষ্ঠুরতা যেন থামছেই না। সরকারের আচরণে জনগণের মনে এখন একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে যে, দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়নের পথে সরকারপ্রধান দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন কি না। দেশনেত্রীর এই বিপুল জনপ্রিয়তা শেখ হাসিনা সহ্য করতে পারেন না বলেই মিথ্যা অভিযোগে সাজানো মামলায় তাঁকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন। কিন্তু জনগণ তাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেদিন আর বেশী দুরে নয়, যেদিন জনগণের সম্মিলিত শক্তি কারাগারের লৌহকপাট ভেঙ্গে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবেই, ইনশাল্লাহ।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ড. শাহিদা রফিক, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, জেড এম মর্তুজা চৌধুরী তুলা, রবিউল ইসলাম রবি প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।