Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তের বছর চেষ্টা করেও ভিটি পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

কামাল আতাতুর্ক মিসেল | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

অযুœ অবহেলায় সরকারি ভূমি পরিত্যক্তভাবে পড়ে থাকার পরও জীবিকা নির্বাহের আশায় কুমিল্লার চান্দিনার অসহায় কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বছরের পর বছর উপজেলা প্রশাসনের কাছে ধরণা দিয়েও একসনা লীজ বন্দোবস্ত আনতে পারছে না। তাই হতাশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

জানা যায়, জেলার চান্দিনা পূর্ব বাজারে (পুরাতন গরু বাজার) ৬৮.৬৮ শতাংশ জায়গা অযুœ অবহেলায় সরকারি ভূমি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় স্থানীয় প্রায় ২৫ জন ক্ষুদ্র দরিদ্র ব্যবসায়ী ২০০৭ সাল থেকে একসনা লীজ বন্দোবস্তের জন্য সকল সরকারি নিয়ম-কানুন মেনে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করলেও অদ্যবধি কোন সূরাহ হয়নি। অথচ উক্ত জায়গাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে উক্ত স্থানে বাজারের সকল ময়লা অবর্জনা ফেলে পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। অপর দিকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সামসুল হক পাটওয়ারী জানান, তিনিসহ ২৫ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ২০০৭ সাল থেকে চান্দিনা পূর্ব বাজারে পরিত্যক্ত ভূমি একসনা বন্দোবস্তের জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও এখন পর্যন্ত বন্দোবস্ত পাননি। তিনি আরো জানান, পুরাতন গরু বাজারটি সাধারণ হতদরিদ্র ব্যবসায়ীর মাঝে লীজ দেয়ার জন্য ৩০ ও ৩১ ধারায় শ্রেণি পরিবর্তন করে ভিটি বাজার হিসাবে রেকর্ড করে ভূমি অফিস। আমরা ২০০৭ সাল থেকে বিভিন্ন সময় লীজ নেয়ার জন্য বার বার পৃথক পৃথকভাবে অদ্যবধি সহকারি কমিশনার (ভূমি) চান্দিনা বরাবর আবেদন করেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না উপজেলা ভ‚মি অফিস।

এ বিষয়ে চান্দিনার সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) নাঈমা ইসলাম বলেন, ওই জায়গাটিতে বাজারের সীমানা নির্ধারণের কাজ চলমান থাকায় আমরা কাউকে বন্দোবস্ত দিতে পারছি না।
এদিকে ২০১৩ সালে চান্দিনার তৎকালীন মেয়র শাহ মো. আলমগীর খান এ বাজারটি লীজ না দিয়ে গরু বাজার বহাল রাখার জন্য উচ্চ আদালতে একটি মামলা করেন। পরিবর্তিতে এ মামলা খারিজ হলেও উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।

এ বিষয়ে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নেহশীষ দাস দৈনিক ইনকিলাকে জানান, বর্তমানে বাজারের সীমানা নির্ধারণের কাজ চলছে। তাছাড়া ওই জায়গায় একটি বহুতল ভবন নির্মাণের প্রস্তাবনা ভূমি মন্ত্রনালয়ে জমা আছে। মন্ত্রনালয়ের পরবর্তী নির্দেশ মোতাবেক কাজ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ