পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে না পারলে আমাদের যাওয়ার কোনো পথ থাকবে না। এটিই শেষ সুযোগ। এবার আমাদের সন্তানেরা মাঠে নামলে কারো পিঠের চামড়া থাকবে না। সেটা আমি পুলিশ কমিশনার-ই হই, আর আপনি পরিবহন মালিক সমিতির বড় নেতাই হোন। কাজেই সবাইকে শৃংখলা মানতে হবে। যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। নতুন সড়ক পরিবহন আইন ফলপ্রসূ করার আহ্বান জানিয়ে গতকাল দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটরিয়ামে ট্রাফিক সচেতনতা পক্ষ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইনটা করা হয়েছে, সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনার জন্য। সরকার ও ট্রাফিক পুলিশের কিন্তু জরিমানা আদায়ের উদ্দেশ্য না। আমরা এখন ঢাকা মহানগরীতে প্রতি মাসে ৬-৭ কোটি টাকা জরিমানা করি। সরকারের কাছে এই টাকা একেবারেই নস্যি, সরকারের এই টাকার প্রয়োজন নাই। আমি কমিশনার হিসেবে যোগদানের পর ট্রাফিকে যারা আছেন তাদের বলে দিয়েছি, মামলার কোনো টার্গেট নাই। সড়কে শৃংখলা থাকলে মামলা করার প্রয়োজন নাই। মূল বিষয় হলো সবাই যদি আইনটা মেনে চলে, তাহলে মামলায় যাওয়ার প্রয়োজন নাই। মালিক, শ্রমিক ও পথচারী সকলকেই আইন মানতে হবে।
ট্রাফিক পক্ষের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ১৫ দিন আমরা শৃংখলা নিয়ে কথা বলবো। পেশাজীবী, চাকরিজীবী, শিক্ষক সমাজ, শিক্ষার্থী, চালক, হেলপার, মালিক সবার সঙ্গে কথা বলব। এটিই আমাদের শেষ সুযোগ। আমরা চাই আমাদের সন্তানদের যেন মাঠে নামতে না হয়। এবার তারা মাঠে নামলে আমাদের পিঠের চামড়া রাখবে না। তখন আমাদের আর কিছুই করার থাকবে না।
গাড়ি রেকারিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেখানে গাড়ি অচল, গাড়ি রেখে চালক বা মালিক কোথাও চলে গেছেন, দীর্ঘ সময় খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আমি রেকারিং করার কথা বলেছি। এর বাইরে যে গাড়ির কোনো কাগজই নাই, সেসব গাড়ি রেকারিংয়ের প্রয়োজন পড়ে। বর্তমান নতুন আইনে একটি জরিমানা দিলে পরিবহন মালিক বা শ্রমিকের সারা মাসের উপার্জন চলে যাবে। সুতরাং আমরা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেছি, অব্যাহতভাবে যারা আইন অমান্য করবে, আমরা শুধু তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করবো। সেটাও সামান্য, কি অমান্য করেছেন এবং কেন করেছেন বুঝিয়ে দেবো। কিন্তু এটা একবার-দুইবার বলবো, তৃতীয়বার বলবো না। তখন আপনাকে জরিমানা করবো। আপনি অব্যাহতভাবে আইন অমান্য করবেন আর আমরা আপনাকে ছাড় দিয়ে যাবো, তাহলে তো আর আইনটি কখনই প্রয়োগ সম্ভব না।
তিনি আরো বলেন, নতুন এই আইনের পর আমরা মালিক-শ্রমিক-পুলিশ যদি সড়কে শৃংখলা আনতে না পারি, তাহলে আমাদের সন্তানরা সম্মিলিতভাবে আমাদের রাস্তা থেকে তুলে দেবে। রাস্তায় আপনিও নামতে পারবেন না, আমিও ডিউটি করতে পারবো না। সহ্যের একটা সীমা থাকে। ধরুন, আপনার একটা ভুল বা আমার একটি ত্রুটির কারণে এমন একটি মানুষ মারা গেলো, যার বাসায় দুটি বাচ্চা রয়েছে এবং তাদের মুখে ভাত দেওয়ার মতো কর্মক্ষম আর কেউ নেই। সেই মানুষটির কথা কি আমরা কেউ চিন্তা করি? অব্যাহতভাবে আমার সন্তান রক্তাক্ত হবে আর আমরা আনফিট গাড়ি নিয়ে, অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে বছরের পর বছর গাড়ি চালিয়ে যাবো। এটি মানুষ বেশিদিন সহ্য করবে না। পরিবহন শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন আমাদের সহযোগিতা নিন, আমরা প্রস্তুত আছি। মালিক যদি বেশি কাজ করতে বাধ্য করে কিংবা মালিক যদি আনফিট গাড়ি চালাতে বাধ্য করে, তাহলে আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানে বাধ্য করবো। সবকিছু আলোচনা করে সামাধন করতে পারবো। কিন্তু একটি সন্তানের চোখের পানি কখনই আলোচনা করে সমাধান করতে পারবো না। সমস্ত বিষয় নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কাজ করবো।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সড়কে শৃংখলা ফেরাতে আমাদের সবাইকে এই আইন বাস্তবায়নে আসতেই হবে। আপনার সন্তানের জন্য, সবার নিরাপত্তার জন্য আইন মেনে চলুন। পুলিশের সহযোগিতা নিন, আসুন সবাই মিলে নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলি। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।