Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শালিখায় বালু উত্তোলনে বাড়িঘর ও ফসলি জমি হুমকির মুখে

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০১৯, ৫:২৭ এএম

মাগুরার শালিখায় প্রশাসনের অবহেলায় বালু দস্যুরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রভাবশালীরা কতিপয় নেতাদের ম্যানেজ করে উপজেলার শিবুদাসপুর সেওজগাতী দীঘলগ্রাম সড়কের পাস থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে কৃষি জমি থেকে প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক বালু উত্তোলন করছে। এতে ঐ সব এলাকার শতশত একর কৃষি জমি সহ প্রায় ১০ গ্রামের ঘর বাড়ী হুমকির মুখে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা বালু দস্যুদের ভয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছেন না বলে জানা যায়। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ছান্দড়া গ্রামের প্রভাবশালী জসিম ও শতখালী গ্রামের তৈয়েব আলী এবং দীঘল গ্রামের কতিপয় প্রভাবশালী বছরের পর বছর ধরে গ্রামের নিরীহ কয়েক জন ব্যক্তির কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে এবং অল্প দামে জমি ক্রয় করে জমিতে ৭/৮টি ড্রেজার মেশিশহিদুজ্জামান চাঁদ,মাগুরাঃ মাগুরার শালিখায় প্রশাসনের অবহেলায় বালু দস্যুরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রভাবশালীরা কতিপয় নেতাদের ম্যানেজ করে উপজেলার শিবুদাসপুর ও সেওজগাতী দীঘলগ্রাম সড়কের পাস থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে কৃষি জমির গভীর থেকে প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক বালু উত্তোলন করছে।
শিবুদাসপুর ও সেওজগাতী দীঘলগ্রামের কয়েকজন বলেন, বালু দস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেয়ার সাহস করে না। এমনকি তাদের ভয়ে প্রশাসনের কাছে মুখ খুলতেও সাহস পায়না।
এরা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে খাল বিল ও কৃষি জমির গভীর থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে প্রায় ১০টি গ্রামসহ শত শত বিঘা আবাদি জমি ভাঙনের মুখে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, ড্রেজিং পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করা হলে ভরা বর্ষা মৌসুমে তাদের বসত ভিটা ও ফসলি জমি ধসে বিলিন হয়ে যেতে পারে। একটি সূত্র জানিয়েছেন ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদী,খাল ও বিলের তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও সেতু, কালভার্টসহ মূল্যবান স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা বেআইনি। অথচ বালু দস্যুরা সরকারি আইন অমান্য করে শিবুদাসপুর ও দিঘলগ্রামের বিলের কৃষি জমি থেকে বালু উত্তোলন করছে। যেখানে সেওজগাতী দীঘলগ্রাম ও শিবুদাসপুরের পাশেই কয়েক শত বসতি বাড়ী, কয়েকটি স্কুল,কালভার্ট ব্রিজ,ভুমি অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদ সহ বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে।সেখানে মাত্র কয়েক গজ দূরে থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বছরের পর বছর কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে চলেছে।
দাসপুর ও সেওজগাতী দীঘলগ্রামের কয়েকজন বলেন, বালু দস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেয়ার সাহস করে না। এমনকি তাদের ভয়ে প্রশাসনের কাছে মুখ খুলতেও সাহস পায়না।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ