রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
শীতের আগমনে নাটোরের লালপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রতিটি এলাকা জুড়ে এখন ঐতিহ্যবাহী মধুবৃক্ষ খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরীতে ব্যস্ত গাছিরা। অযতেœ অবহেলায় বেড়ে উঠা খেজুর গাছের কদর এখন অনেক বেশি। প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির আঙ্গিনা, রাস্তার ধারে ও মাঠের খেজুর গাছ গুলি থেকে রস সংগ্রহরে জন্য হাড়ি পাতছেন গাছিরা আর শীত উপেক্ষা করে প্রতিদিন ভোর থেকে মধুবৃক্ষ খেজুরের গাছে গাছে উঠে রস সংগ্রহ করেন গাছিরা।বাড়িতে পরিবারের সদস্যরা সেই রস জ্বাল দিয়ে তৈরী করছেন সুস্বাদু খেজুরের পাটালি ও ঝোলা গুড়।খেজুরের পাঠালি গুড় গাছিরা স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করেন। সব মিলিয়ে রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরীতে এখন দারুন ব্যস্ত সময় পার করছেন এই এলাকার গাছিরা।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার সময় উপজেলার লালপুর-বনপাড়া সড়কের ভুঁইয়াপাড়া ব্রিজ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সুলতান আলী নামের মাঝ বয়সী এক ব্যাক্তি একটি খেজুরের গাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য গাছে হাড়ি পাতছেন। শতব্যস্ত দেখেও কথা বলতে চাইলে তিনি দৈনিক ইনকিলাব কে বলেন, ‘শীত শুরুর আগেই আমরা নিজের ও বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে এক বছরের জন্য টাকার বিনিময়ে খেজুরের গাছ নিয়ে সেই গাছ থেকে রস সংগ্রহের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে গাছ ঝোড়ার কাজ শেষ করেছি। শীতকাল শুরু হওয়ায় আমরা গাছ থেকে রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরীর কাজ শুরু করেছি। এবছর শীত একটু দেরিতে শুরু হওয়ায় আমরা একটু দেরি করেই রস সংগ্রহের কাজ শুরু করেছি।’
ঐ এলাকার আলতাব নামের এক গাছি বলেন,‘আমরা শীত মৌসুমে খেজুরের গাছের রস থেকে গুড় তৈরী করি আর সেই গুড় বাজারে বিক্রয়ের টাকা দিয়েই কোনমতে আমাদের সংসার চলে।’
স্থানীয়রা বলছেন, ‘খেজুরের গুড় এই এলাকার একটি ঐতিহ্য। খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরী একটি শিল্প এই শিল্পের সঙ্গে লালপুর উপজেলার কয়েক হাজার পরিবারর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত। আগে শীত আসলেই লালপুরের প্রায় প্রতিটি পরিবারের দেখা যেতে খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরী হচ্ছে। নতুন খেজুরের গুড় আর নতুন ধানের চাল দিয়ে শুরু হতো নবান্নের উৎসব। তাছাড়াও শীতের সকালে সুমৃষ্ট খেজুরের রস কেনা পছন্ধ করে। তবে কোনপ্রকার সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় এবং খেজুর গুড়ের নামে ভেজাল গুড় তৈরী হওয়ায় ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পটি হারাতে বসেছে তার ঐতিহ্য। আর এই সুযোগকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কাজে লাগিয়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় তৈরী করছে ভেজাল খেজুরের গুড়। তবে ভেজাল প্রতিরোধ ও গুড় শিল্প রক্ষায় সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে খেজুরের গুড় পুনরায় ফিরে পাবে তার ঐতিহ্য এমনটিই মনে করেন এলাকাবাসী।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।