পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে আকাশ ও সমুদ্র পথে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। আকাশ পথে আমদানি করা হচ্ছে ৫০ হাজার মে. টন পেঁয়াজ। মিসর থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ সউদী এয়ারলাইন্স-এর একটি উড়োজাহাজ যোগে ঢাকার পথে রয়েছে। পেঁয়াজবাহী প্রথম সউদী এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ এসভি-৩৮০২ যোগে মিসরের কায়রো থেকে জেদ্দা হয়ে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে আজ গভীর রাতে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এরপর প্রতিদিন প্যাসেঞ্জার ও কার্গো ফ্ল্যাইটে পেঁয়াজ অব্যাহতভাবে ঢাকায় আসবে। এসব পেঁয়াজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা হবে। টিসিবি’র ট্রাক সেল এবং নিয়োজিত ডিলারের মাধমে সারাদেশে এ পেঁয়াজ বিক্রি হবে। এছাড়া, সমুদ্রপথে ১২ হাজার মে.টন পেঁয়াজ দেশে পৌঁছাতে শুরু করেছে। দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে উঠেছে। পেঁয়াজের মূল্যও দ্রুত গতিতে কমছে। বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধির জন্য সরকার শুরু থেকেই আমদানি কারকদের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানির প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে এবং মায়ানমার পেঁয়াজের মূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি করলে বিকল্প হিসেবে মিসর ও তুরষ্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। সমদ্র পথে পেঁয়াজ আসবে সময় বেশি লাগার কারণে এখন তা আকাশ পথে আমদানি করা হচ্ছে। দেশে দৈনিক প্রায় ৬ হাজার মে. টন পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়। দেশের মজুত এবং আমদানিকৃত পেয়াঁজ মিলে তা পর্যাপ্ত হবে। এরই মধ্যে দেশীয় পেঁয়াজ পর্যাপ্ত বাজারে আসবে। সামনে কোন সমস্যা হবে না।
টিপু মুনশি বলেন, আমাদের প্রতি বছর আট থেকে দশ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আদানি করতে হয়। এর বেশির ভাগই প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত থেকে আমদানি করা হয়। এখন আমদানি নির্ভর না থেকে চাহিদার পুরো পেঁয়াজই দেশে উৎপাদনের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য কৃষকদের ভর্তুকি ও উৎসাহ প্রদান করা হবে। এছাড়া, পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে পেঁয়াজ সারা বছর সংরক্ষণ করা যায়। মৌসুমের সময় পেঁয়াজ আমদানির কারনে যাতে দেশের কোন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ না হন, সে সময় পেঁয়াজ আমদানির উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। কৃষকগণ যাতে পেঁয়াজের উপযুক্ত মূল্য পান, তা নিশ্চিত করা হবে। এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।