Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আশাশুনিতে কলেজ শিক্ষকের মানবেতর জীবনযাপন

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

সরকারি নীতিমালা অপব্যবহারে দ্বৈতনীতির বলির পাঠা হয়ে আশাশুনিতে এক কলেজ শিক্ষক মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রতিকারের প্রার্থনা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন কলেজ শিক্ষক মো. শাহাদাৎ হোসেন।

আশাশুনি সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের এমপিওভুক্ত শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন লিখিত অভিযোগে জানান, কলেজটি ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারি সরকারিকরণ করা হয়। সরকারিকরণ করা হলেও শিক্ষক আত্বীকরণের কাজ চলমান থাকায় শিক্ষক কর্মচারীগণের এডহক নিয়োগ হয়নি। ফলে বেসরকারি আমলের এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের আদলে বেতনভাতা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু শাহাদাৎ হোসেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে গত ১ মে ১টি হত্যা মামলার আসামি হন এবং ১৭ জুন আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। ১৫ জুলাই তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে কলেজে যোগদান করলে তাকে হাজিরা খাতায় সাক্ষর না নিয়ে নতুন খাতায় সাক্ষর নেয়া হচ্ছে। এমনকি কোনো পত্রাদেশ ছাড়াই তাকে মাসিক ভাতাদি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনের রীটপিটিশন নং ৩৬৫৭/২০১৫ এর রায়ে বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষকের ৬০ দিনের বেশি সাময়িক বরখাস্ত না রাখার আদেশ এবং উক্ত দিনের বেশি সাময়িক বরখাস্ত রাখা হলে, তিনি বেতন ও অন্যান্য ভাতাদি প্রাপ্য হবেন, মর্মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকা স্বত্তেও তা কলেজের অধ্যক্ষ অমান্য করে তার বেতন ভাতাদি সম্পূর্ণ বন্ধ করে রেখেছেন। এসব নির্দেশনা সংযুক্ত করে গত ২৭ আগষ্ট তিনি শাহাদাৎ হোসেন অধ্যক্ষ বরাবর মানবিক অসুবিধার কথা উল্লেখ করে বেতন ভাতাদি পেতে আবেদন করেন।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ ড. মিজানুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলার বাদি পক্ষের আবেদন এবং শিক্ষক শাহাদৎ হোসেনের আবেদন আমি ডিজি মহোদয়ের কাছে পাঠিয়েছি, ডিজি মহোদয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গৃহীত সিদ্ধান্ত প্রেরণ করা হয়েছে, কিন্তু আমি হাতে পাইনি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দিবেন তা বাস্তবায়ন করা হবে।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ