বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬০ বছর। সুপ্রিম কোর্টের দেয়া রায়ে এটি উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল রোববার ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, হাইকোর্ট জাতীয় সংসদকে আইন প্রণয়ন বা সংশোধন করতে বলতে পারে না।
এর আগে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে ৬০ বছর করে ২০১৩ সালে করা আইন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬০-ই হবে।
এর আগে ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে ৬০ বছর করে ২০১৩ সালে করা আইন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬১ বছর করা উচিত ছিল। কিন্তু সেটা না করা বৈষম্যমূলক হয়েছে। এ কারণে সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ৬১ বছর পর্যন্ত সকল সুবিধা দেবে বলে মনে করি।’ বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর এবং বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছিলেন। রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সিদ্দিকুর রহমান খান ও অ্যাডভোকেট গাজী মোশতাক আহমেদ। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক।
সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মশির উদ্দিন ওয়ারেশী ও আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার তপন কুমার সাহার রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দেন আদালত। পরে হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে সরকার। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের ওই রায় বাতিল করেন। সরকার ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আইন সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে অবসরের বয়সসীমা এক বছর বাড়িয়ে ৬০ বছর করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।