পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুখবর বটে! দেশের রন্ধনশালা তথা ১৭ কোটি মানুষের জন্য এটা চমৎকার খবর! পেঁয়াজের বিকল্প হবে চিভস। তরকারিতে এই চিভসের ব্যবহার ভারতের ওপর পেঁয়াজ আমদানির নির্ভরতা কমিয়ে দেবে। তরকারিও হবে সুস্বাদু। এ ছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, নায়াসিন, ক্যারোটিন ও খনিজ উপাদান। এই সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্র। জানতে চাইলে বিজ্ঞানী ড. রুম্মান আরা জানান, তিনি নিজেও চিভস তরকারিতে ব্যবহার করেছেন। এর স্বাদ ও গন্ধ প্রায় পেঁয়াজ ও রসুনের মতো। এর অনেক গুণাগুণ আছে। স্যুপ, সালাদ, তরকারি ও চাইনিজের ভেজিটেবল আইটেমে এটি ব্যবহার করা যায়।
গাজীপুর অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মু. শহীদুজ্জামান বলছেন, চিভসের স্বাদ পুরোপুরি না হলেও অনেকটা পেঁয়াজের মতোই। তবে এটিতে পেঁয়াজের মতো গুটি বা দানা হয় না। শুধু পাতাজাতীয় ফসল।
ভারতের পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীলতা বিপর্যয়কর অবস্থায় ফেলেছে বাংলাদেশের ভোক্তাদের। হঠাৎ করে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশের সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। কোনোভাবেই দেশে উৎপাদিত এই পণ্য দিয়ে ভোক্তা চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। যার কারণে বাধ্য হয়েই কার্গো বিমানে করে তুরস্ক ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে।
দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় রসুইঘরের মসলাজাতীয় সবজি পেঁয়াজ এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। তরকারিতে এই পণ্য অপরিহার্য হওয়ায় ৩০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ ২৫০ টাকায় ভোক্তাদের ক্রয় করতে হচ্ছে। পেঁয়াজের বাজার যখন লাগামহীন, তখন এর বিকল্প হিসেবে চিভস নামে পাতাজাতীয় এক ধরনের মসলা ব্যবহারের চিন্তাভাবনা চলছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত এই মসলাজাতীয় ফসল নিয়ে ব্যাপক আলোচনা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় সারা বছর ধরেই চিভ চাষাবাদ ও ব্যবহার করা যাবে। আর তাতে করে পেঁয়াজের ওপরও চাপ কমবে। এমনটিই জানিয়েছেন মসলা গবেষকরা।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মু. শহীদুজ্জামান চিভস সম্পর্কে বলছেন, এর মাটির ওপরের অংশই খাওয়া যায়। এর চারা লাগানোর ৬৫-৭০ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ শুরু হয়। বছরে ৪-৫ বার ফসল উত্তোলন করা সম্ভব। এর পাতা, কান্ড ও কাঁচা ফুল তরকারির মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ মসলার চাষযোগ্য উচ্চফলনশীল জাত বারি চিভস-১ জাত ইতিমধ্যেই অবমুক্ত করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, চিভস উৎপাদন এখন একটা স¤প্রসারণ পর্যায়ে রয়েছে। খুবই সহজে এবং তুলনামূলক কম খরচে এটি চাষাবাদ করা যায়। একবার পাতা-কান্ড কেটে নিলে আবার গজায়। হলুদ ও আদার মতোই বাড়ির আঙিনায় বা টবেও চিভস চাষাবাদ করা যায়। দেশের সব অঞ্চলের উঁচু অঞ্চলে এটি চাষাবাদ সম্ভব বলে জানান বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ। তিনি বলেন, পেঁয়াজের বিকল্প হিসেবে এই চিভস জাতের অবমুক্ত করা হয়েছে ২০১৭ সালে। এটা ব্যবহার করে পেঁয়াজের চাহিদা অনেকটা কমানো সম্ভব। এর উৎপাদনও অনেক সহজ। চিভসের গুণাগুণ হলো এটা হজমে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এছাড়া এতে ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণাগুণ রয়েছে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, নায়াসিন, ক্যারোটিন ও খনিজ উপাদান। এর পাতা লিনিয়ার আকৃতির, ফ্লাট, কিনারা মসৃণ, বাল্ব লম্বাটে। এটি সাধারণত উৎপাদিত হয়ে থাকে সাইবেরিয়া-মঙ্গোলিয়া ও নর্থ-চায়না অঞ্চলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।