Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কপাল পুড়ছে ভাঙন কবলিতদের

দেড় মাসে ২শ’ বাড়ি ব্রহ্মপুত্রে বিলীন, প্রস্তাবনা ফাইলবন্দি

শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নে ভাঙনে দু’শতাধিক বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ফলে আধাপাকা ধান কাটতে বাধ্য হয়েছেন কৃষকরা। অসহায় ভাঙনকবলিতদের দাবি দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহনের। কিন্তু তীর রক্ষা বাঁধের প্রকল্প প্রস্তাবনা ফাইলবন্দি থাকায় কপাল পুড়ছে ভাঙন কবলিতদের।

আতিকুর ও নবাব আলী জানান, এই ইউনিয়নে ৬টি গ্রামে ৩ কিলোমিটার এলাকা ব্যাপী ভাঙন চলছে। গত দেড় মাসে দুই শতাধিক বসতবাড়ি, কয়েকশ একর ফসলি জমি, গাছপালা ব্রহ্মপুত্র নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গ্রামের ৩০/৪০ জন লোক জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে নদী ভাঙন রোধে কথা বলতে গেলেও তাদের কাছ থেকে কোনো আশ^াস পাওয়া যায়নি।

নবাব আলী এবং প্রতিবেশী বাচ্চু, আতিকুর ও হালিমা জানান, ভোরবেলা আমরা ঘর সরিয়েছি। আপাতত অন্যের জমিতে আশ্রয় নিলেও ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমরা হতাশ। এই দীর্ঘ জীবনে অনেকবার আমাদেরকে এই ধরণের পরিস্থিতিতে মুখোমুখী হতে হয়েছে। তখন জমির দাম কম ছিলো। মানুষও অসহায়দের আশ্রয় দিতে কুন্ঠা বোধ করতেন না। এখন সবকিছুর মূল্য বেড়ে গেছে। নদী ভাঙতে ভাঙতে মেইনল্যান্ডে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চলে এসেছে। এখানে জমির মূল্য অনেক বেশি। তাই কেউ জমি দিতে চায় না। এক বাঁধে হাজার হাজার ভিটেহীন পরিবার ঠাঁসাঠাঁসি করে বসবাস করছে। সেখানেও ঠাঁই নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফলে ভাঙন কবলিতদের অনেকেই খোলা আকাশে ছাপড়া তুলে আশ্রয় নিয়েছে। এখন পর্যন্ত এসব পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি কেউই। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর দাবি দ্রæত ডাম্পিং-এর কাজ শুরু করা। যাতে বসতভিটাসহ আবাদি জমি রক্ষা পায়।

এ ব্যাপারে হাতিয়া ইউনিয়নর চেয়ারম্যন আবুল হোসেন জানান, ভাঙনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েছি। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে দ্রæত ব্যবস্থা না নিলে ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদী গর্ভে চলে যাবে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, আমরা তীর রক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬০ মিটার জায়গায় বালু ভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং করেছি। এখানে নতুন করে তীররক্ষা বাঁধের জন্য প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ