রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কুতুবপুর বাজারে বসে বিরাট কলার হাট। কলার হাট হিসেবে ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে হাটটি। প্রতি সপ্তাহে প্রায় কোটি টাকার কলা বিক্রি হয় এ হাটে। রোববার ও বুধবার এখানে কলার হাট বসে। তবে হাটের আগের দিন কলা বিক্রির জন্য চাষিরা কলা এনে পসরা সাজিয়ে রাখেন। এখান থেকেই সখিপুর-ঘাটাইল-মধুপুর-ফুলবাড়িয়া-ভালুকা উপজেলার উৎপাদিত কলা ট্রাক বোঝাই করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যাচ্ছে।
জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় কলার হাট হিসেবে পরিচিত এখন সখিপুর উপজেলার কুতুবপুর বাজার। এ হাটে উপরজেলার বিভিন্ন গ্রামের কলা চাষিরা কলা বিক্রি করতে আসেন। এছাড়াও জেলার ঘাটাইল, মধুপুর ও কালিহাতী, ধনবাড়ি উপজেলা এবং ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া, ভালুকা উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চাষি ও ব্যবসায়ীরা কলা বিক্রি করতে আনেন। এ হাট থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রি করেন।
কলা ব্যবসায়ীরা জানান, কুতুবপুরহাট থেকে ২০ থেকে ২৫ ট্রাক কলা দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। হাটের কলার আড়তদার ফজলুল হক জানান, কলা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এখানে সাতটি আড়ৎ গড়ে উঠেছে। সরেজমিন দেখা যায়, এ বছর কলার দাম অনেকটাই বেশি। প্রতি কাঁদ কলা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা করে। কলার কাদের ওপর নির্ভর করে দাম কম-বেশি হয়ে থাকে বলে জানান কলা ব্যবসায়ী হোসেন মিয়া। তিনি আরও জানান, এ বাজারের কলাগুলো খুবই উন্নত মানের এবং দেশের সব জায়গায় রয়েছে এ কলার চাহিদা। এ কারণে এখানে কলার দামও একটু বেশি।
১৫ থেকে ১৮ ছড়ি মধ্যম মানের একটি কলার কাঁদ বিক্রি হয় অন্তত ৩০০ টাকা করে। এর চেয়ে ভালো মানের কলা বিক্রি হয় ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
কলা চাষি হযরত আলী জানান, এ বছর তিনি সাড়ে চার বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ৩০০টি হিসাবে সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে এক হাজার ৫শ’ কলা গাছ লাগিয়েছেন। প্রতি বিঘা জমি থেকে অন্তত ৮০ হাজার টাকার কলা বিক্রি হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান, প্রতি বিঘা জমিতে কলা চাষ করতে তার ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
কুতুবপুরপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান ফকির বলেন, হাটের আগের দিন চাষিরা কলা এনে বিক্রির জন্য থরে থরে সাজিয়ে রাখেন। হাটের দিন ভোর থেকেই বেপারীরা কলা কিনতে শুরু করেন। এ বাজারে সপ্তাহে প্রায় কোটি টাকার কলার বেচা-কেনা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।