পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রত্যক্ষভাবে প্রেস ফ্রিডমের ওপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার রাজধানীর হোটেল পূর্বানীতে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম রিজু'র সভাপতিত্বে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
'ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহার চুক্তি: বাংলাদেশের সম্ভাব্য বিপর্যয়' শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে, রাষ্ট্রের কাঠামোকে ভেঙে ফেলা হয়েছে, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে এবং মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আর নিয়ন্ত্রণটা এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে যে- কোন বিশিষ্টি ব্যক্তির বিরুদ্ধে এবং কোন দল সম্পর্কে এমন কিছু বলা যাবে না যেটা ক্ষতি করবে। এটা বিবেচনা করবেন। কার ক্ষতি হবে, কে বিবেচনা করবেন? প্রত্যক্ষভাবে আমাদের প্রেস ফ্রিডমের ওপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। আর আজকে যে আমরা এখানে কথা বলছি, তার শতকরা ৯০ ভাগ আপনারা (সাংবাদিক) লেখতে পারবেন না।
তিনি বলেন, সৌদি আরব থেকে নারী শ্রমিকরা ফিরে আসছেন। এরমধ্যে ৯৩ জন নিহত হয়েছে। 'পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার, সংখ্যা কম। তারআগে উনি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক'। ভালো কথা। কিন্তু আমাদের যে সমস্যা ও স্বার্থ, আমি পানি পাবো না, আমার সমস্যার সমাধান হবে না। আমরা তো ভারতের বিরুদ্ধে কখনো কথা বলি না। ভারতের সাথে তো আমাদের কোন বিরোধ নেই। সমস্যাটা হচ্ছে যে, এমন একটা সরকার, যারা আমার সমস্যা নিয়ে ভারতের সাথে কথা বলতে পারে না। এই শক্তি তার নেই। সুতরাং এই সরকার যতদিন থাকতে ততদিন বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে।
ফেনী নদীর পানি চুক্তির বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, চুক্তিটা করেছে কে? যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে, তারা চুক্তিটা করেছে। ২০০৮ সালের ক্ষমতায় আসার পরে অত্যান্ত সুপরিকল্পিতভাবে ও সচেতনভাবে মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে, দেশের সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে এবং গণতন্ত্রকে পুরোপুরি ধ্বংস করে তারা একটি পুতুল সরকারে পরিণত হয়েছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের মূল কাজ হচ্ছে, এই সরকারকে সরাতে হবে। এই সরকারকে সরাতে হলে একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। সমস্ত দলমত নির্বিশেষে সমস্ত মানুষকে এক করে এই দানব সরকারকে সরাতে হবে।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বলেছি, যে নির্বাচন তারা করেছে- 'ডাকাতির নির্বাচন'। এই নির্বাচনের ফলাফলকে বাতিল করে দিয়ে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটি নতুন নির্বাচন করতে হবে। যেটা জনগণের সরকার ও সংসদ হবে। কিন্তু বর্তমান সংসদ এমন একটি সংসদ যে, কোন চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়নি!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।