বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উল্লাপাড়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথে উল্লাপাড়া স্টেশনে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন দূর্ঘটনায় কোনো পরিকল্পিত নাশকতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ। দূর্ঘটনার পর বগির ভিতরে আগুন লাগার ঘটনাকে সন্ত্রাসী বা নাশকতার সন্দেহ করছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। শুক্রবার বিকেলে রেলমন্ত্রী উল্লাপাড়ায় সরেজমিনে ট্রেন দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যম কর্মিদের কাছে এমন মন্তব্য করেন। দূর্ঘটনার পর ইঞ্জিন থেকে কিভাবে দ্রুত আগুন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগিসহ অন্য বগির ভিতরে ঢুকলো এটা ভাবার বিষয়। তিনি বলেন, এর আগে ২০১৪ সালে তথাকথিত আন্দোলনের নামে এ এলাকায় একটি ট্রেন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রেলমন্ত্রী ট্রেন দূর্ঘটনার ২৬ ঘন্টা (শুক্রবার বিকেল ৪ টা) পাড় হলেও লাইন মেরামত ও সংস্কারের কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে উল্লাপাড়ার দুটি ঝুঁকিপূর্ণ রেল ব্রিজ দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিয়ে তিনি আরো বলেন, ঈশ্বরদী থেকে ঢাকা পর্যন্ত খুব দ্রুত ডাবল রেল লাইন করা হবে। ডাবল লাইন হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উল্লাপাড়ায় ট্রেন দূর্ঘটনার ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রেল সচিব মোফাজ্জল হোসেন বলেন, দূর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ইতিমধ্যেই চারটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুতই দূর্ঘটনার আসল কারণ উৎঘাটন করা যাবে। বৃহস্পতিবার এ লাইনে ট্রেন দুর্ঘটনার আগে সংস্কার কাজে জড়িত দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবদ করছে রেল পুলিশ। আটকরা হলো উল্লাপাড়ার কালিগঞ্জ গ্রামের আরিফ হোসেন ও মাটিকোড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক। তারা রেলওয়ের সংস্কার কাজের কর্মি। রেলের একটি সূত্র ধারণা করছে, সংস্কার কাজে নিয়োজিতরা উল্লাপাড়া ষ্টেশনে ঢোকার সম্মুখ পয়েন্টে বেসপ্লেট খুলে রাখা হয়েছিল। যে কারণে ওই দু’জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন, রেল সচিব মোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব ফারুকুজ্জামান, পশ্চিম রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিহির কান্তি গুহ, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামানসহ রেলের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।
পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিলিফ ট্রেনের মাধ্যমে লাইনচ্যুত বগিগুলোকে সড়ানো হয়েছে। এখন রেললাইন সচল করার কাজ চলছে। এ দুর্র্ঘটনায় রংপুর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বগিসহ ৩টি বগি পুরোটাই পুড়ে যাওয়াসহ ৯টি বগি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লাপাড়া স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুল হামিদ জানান, মিটারগেজ লাইন সচল হতে অনেক সময় লাগবে। রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের কর্মিরা সেটি ঠিক করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। তবে বিকল্প হিসেবে এ স্টেশনের ৩ নং ব্রডগেজ লাইন দিয়ে দিনভর ১৫টি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করানো হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ দু’টি লাইন সচল হলেই মিটারগেজের ট্রেনগুলো চলাচল স্বাভাবিক হবে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৫টা) ট্রেন দুর্ঘটনায় কোন মামলা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।