পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, একটি মুসলিম প্রধান দেশে মুসলমানদের প্রাণাধিক প্রিয় রাসুল সা. কে নিয়ে কটুক্তি করা হবে, তার প্রতিবাদ করলে গুলি করে হত্যা করা হবে। আবার মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে, এটা সহ্য করা যায় না। ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনা রোধে কার্যকর আইন পাশ করতে হবে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টায় সিলেট শহরের ঐতিহাসিক রেজিস্টারি মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা ও মহানগর আয়োজিত দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা,আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং মহানবী সা. কে নিয়ে কটুক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাশ করার দাবিতে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইসলাম ছাড়া মানবতার মুক্তি নেই; তাই জীবনের সর্বত্র ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় দেশের ইসলাম প্রিয় জনগণকে ইসলামী আন্দোলনের পতাকাতলে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন, জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্যে সমাজ ঐক্যদ্ধ হতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তীব্র গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর আরো বলেন, চাল-ডালসহ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য আজ সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। পিঁয়াজের দাম বেড়ে বর্তমানে ২০০ টাকার উপরে। যা স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে। দীর্ঘসময় ধরে দাম বাড়লেও এ ব্যাপারে সরকারের আন্তরিক পদক্ষেপ আছে বলে মনে হয় না। সরবরাহ বাড়ানোর ব্যবস্থা না করে প্রধানমন্ত্রী পিঁয়াজ ছাড়া তরকারি খেতে পরামর্শ দিয়ে বরং জনগণের সাথে উপহাস করছেন।
সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে সংগঠনের নায়বে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই ভারতের বাবরী মসজিদের রায়ের ইস্যু তুলে ধরে বলেন, অনুমান করে, বিশ্বাসের ওপর কিংবা স্বপ্নের ওপর নির্ভর করে কোন রায় হতে পারে না। এটা আইনের পরিপন্থি। তিনি বলেন, আদালতে এভাবে একপেশে রায় দিয়ে পাঁচশত বছরের মসজিদ ভেঙে দেয়ার নজির ইতিহাসে নেই। অথচ ১৯৪৯ সালে ভারতের সংবিধান তৈরি করা হয়, যাতে সকল ধর্মের ও বর্ণের মানুষের অধিকারের কথা লেখা হয়েছে। অথচ সুপ্রিমকোর্টের এ রায়ে ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তিনি বলেন,এ রায় বাস্তবায়ন হলে অন্যান্য ধর্মের স্বার্থও প্রশ্নবিদ্ধ হলো। এতে খ্রীষ্ট ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্মসহ অন্যান্য সকল ধর্মের স্বার্থ রক্ষায় ভারত সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব নযীর আহমদ এর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ইমাদ উদ্দিন ও নগর সেক্রেটারি হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান এর যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফিজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, সংগঠনের রাজনৈতিক উপদেষ্ঠা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কে.এম আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য প্রফেসর ডা. মোয়াজ্জেম হেসেন খান। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা সভাপতি মুফতি সাঈদ আহমদ, নগর সহসভাপতি, ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সিলেট মহানগর সভাতি মুহাম্মদ আবু তাহের মিসবাহ, জেলা সভাপতি ফয়জুল হাসান চৌধুরী, ইসলামী যুব আন্দোলন সিলেট জেলা সভাপতি মুফতী শিহাব উদ্দিন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।